প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নির্দিষ্ট গতিতেই চলছিল ট্রেন, আচমকাই দেখা যায় রেল ট্র্যাকে স্লিপার খুলে পড়ে রয়েছে। কোনও রকমে ব্রেক কষল চালক। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। এমনই ভয়ংকর ঘটনা ঘটল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে রীতিমত তদন্তে নেমেছে রেল আধিকারিকরা।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ বুধবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মগরাহাট এবং দেউলার মাঝামাঝি জায়গায় ওই ভাঙা স্লিপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ঠিক সেই সময় শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবারের দিকে যাচ্ছিল একটি লোকাল ট্রেন। নির্দিষ্ট গতিতেই ট্রেনটির চালক নিজের রেকটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এমন সময় আচমকাই ট্র্যাকের উপরে স্লিপারটি দেখতে পান চালক। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে কোনো ক্রমে দ্রুত ব্রেক কষেন তিনি। মুহূর্তের জন্য প্রাণ রক্ষা পায় অসংখ্য যাত্রী।
ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ধর্মঘট!
এদিকে মাঝরাস্তায় আচমকা ট্রেনের ব্রেক কষায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সকলের মধ্যে। অনেকেই গোটা বিষয়টি তদারকি করার জন্য ট্রেন থেকে নেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চালকও সময় নষ্ট না করে মগরাহাট স্টেশনে খবর দেন।
এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই GRP এবং RPF এর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। বেশ কয়েকজন রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্র্যাকের উপর স্লিপারটি যেভাবে রাখা ছিল, তাতে জোরে ব্রেক না কষলে হয়ত বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত। প্রাণহানি হত অসংখ্য যাত্রীর।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ‘সন্ত্রাসবাদী’! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক
বিস্ফোরক অভিযোগ রেলের
এদিকে গোটা ঘটনার নেপথ্যে কারণ হিসেবে উঠে আসছে গতকালের শিল্প ধর্মঘটের প্রসঙ্গ। রেলের অভিযোগ, গতকাল যাঁরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন, তাঁরাই ইচ্ছে করে ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ করতে এই উদ্যোগটি নিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই গতকাল ধর্মঘটের জেরে একাধিক জায়গায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যাদবপুর, হাওড়া , হুগলি এবং কলকাতার একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধর্মঘট সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বেধেছিল।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |