সহেলি মিত্র, কলকাতা: আপনার বাড়িতেও কি রান্নার গ্যাসের সংযোগ রয়েছে? তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলি তাদের গ্রাহকদের যত দ্রুত সম্ভব বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন (Gas Biometric) করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। যদি কেউ এটি না করেন তাহলে তারা আর গ্যাস (LPG) সংযোগ পাবেন। ইতিমধ্যেই বহু গ্রাহক বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন না করানোর জেরে মহা সমস্যায় পড়েছেন অভিযোগ উঠছে অনেকেই গ্যাস বুক করেও গ্যাস পাচ্ছেন না।
বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন না করলে মিলছে না গ্যাস!
এমনিতেই পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলি তাদের গ্রাহকদের LPG সংযোগ সক্রিয় রাখার জন্য e-KYC থেকে শুরু করে বায়য়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ আপনি যদি আপনার LPG গ্যাস সংযোগের জন্য e-KYC কিংবা ভেরিফিকেশননা করেন, তাহলে আপনার গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং আপনি এতে ভর্তুকি সুবিধাও হারাতে পারেন।
অনেকেই আছেন যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এদিকে তাদের নামে গ্যাস সংযোগ রয়েছে তবে সময়ে মতো ভেরিফিকেশন না করানোর জেরে তাদের পরিবারের লোকজন গ্যাস পাচ্ছে না বলে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। গ্যাস সংস্থাগুলির দাবি, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করার জন্য গ্রাহকদের প্রায় এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা তাঁদের সচেতন করেছেন। কিন্তু তারপরও অনেকেই আগ্রহ দেখাননি। তাছাড়া অ্যাপের মাধ্যমেও বায়োমেট্রিক করা যায়। সেক্ষেত্রে বাইরে থাকলেও কোনও সমস্যা নেই।
বিপাকে সাধারণ মানুষ
এদিন সিলিন্ডার নিতে আসা এক গ্রাহক বলেন, ‘মোবাইলে বায়োমেট্রিক করার জন্য নোটিস পাইনি। কবে শেষদিন রয়েছে সেটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। স্বামী বাইরে থাকে। ওঁর নামেই গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এখন ছুটি নিয়ে কীভাবে আসবে? বুকিং করা সত্ত্বেও ডেলিভারি করা হচ্ছে না। গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া একদিনও চলবে না। রান্না বন্ধ হয়ে যাবে।’ অপর এক গ্রাহক বলেন, ‘বুকিং বাতিল করার আগে নোটিস দেওয়া উচিত ছিল। বায়োমেট্রিক করা বাধ্যতামূলক এটা কখনোই বলা হয়নি।’
আরও পড়ুনঃ এয়ারপোর্টের আগেই মিশে যাবে অরেঞ্জ ও ইয়েলো লাইন, মেট্রো পদক্ষেপে উপকৃত হবেন যাত্রীরা
এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন হচ্ছে কেন এরকম করা হচ্ছে গ্যাস সংস্থাগুলির তরফে? এই বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘সম্প্রতি উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। বহু উপভোক্তা সিলিন্ডার তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা যাচ্ছে। বায়োমেট্রিক করা হলে বোঝা যাবে প্রকৃত উপভোক্তার সংখ্যা। অনেকেরই নামে গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। তাঁরা নিজেরা সিলিন্ডার ব্যবহার করে না। বায়োমেট্রিক চালু হয়ে গেলে ভুয়ো উপভোক্তা থাকবে না। ‘