সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দাদুর হাতেই খুন হয়েছে সোনারপুরের (Sonarpur Murder) শিশু কন্যা। নিজেই অভিযোগ স্বীকার করলেন বৃদ্ধ। কালীপুজোর আগের রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক চার বছরের শিশু কন্যার মৃত্যুকে ঘিরে গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। সকালেই পুলিশ ওই বাড়িটিকে সিল করে দিয়েছিল। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা দাদু, দিদা এবং কাজের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তবে অবশেষে জানা গেল যে, তার দাদুর হাতেই খুন হয়েছে ওই শিশু কন্যা।
ঘটনাটি কী?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার কোদালিয়া কদমতলায় গতকাল সন্ধ্যাবেলা প্রত্যুষা কর্মকার নামের এক শিশুর কান্না শুনতে পেয়েছিল স্থানীয়রা। তারপর তড়িঘড়ি তারা বাড়িতে ঢুকে দেখে যে, রক্তে ভেজা মেঝেতে শিশুর দেহ পড়ে রয়েছে। তারপর শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তাররা।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছিল, তার মা এবং বাবা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। আর তার দেখভাল করার জন্য বাড়িতে কাজের লোক ছিল। এমনকি ওই বাড়িতে তার দাদু এবং দিদাও থাকতেন। তবে তাদের মাঝে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই উঠছিল সংশয়। প্রসঙ্গত ওই শিশু কন্যার মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছ। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কার হাত রয়েছে এর পিছনে, আর কেনই বা সে চিৎকার করছিল? অবশেষে উত্তর পাওয়া গেল দাদুর গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়েই।
আরও পড়ুনঃ ট্রেনে সিট না পেয়ে বোমার হুমকি! যোগী রাজ্যে গ্রেপ্তার দুই ভাই
দোষ স্বীকার করলেন দাদু
টিভি ৯ এর রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, পুলিশের জেরার মুখে পড়ে সমস্ত দোষ স্বীকার করেছেন ওই শিশু কন্যার দাদু। তিনি জানিয়েছেন, খুনের নেপথ্যে তারই হাত রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যাবেলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেই নাতনিকেই খুন করেছে। এমনকি নাতনিকে কারও সঙ্গে খেলা করতে দিত না আর বাড়িতেই বন্দী করে রাখত। তবে কেন এমনটা করল জানতে চাওয়া হলে পুলিশ অনুমান করছে, তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। কোনও শিশুকে সহ্য করতে পারতেন না, খিটখিটে, বদমেজাজি লোক তিনি। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, তার দু’জন কন্যা সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর সাথেও তার নাম জড়িত। যদিও সে বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।