কলকাতাঃ রেলে ভ্রমণ করা যেন এখন অনেকের কাছে দুঃস্বপ্নের সমান হয়েছে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের মুখে এখন এই একটাই কথা শোনা যাচ্ছে। বেশ কিছু সময় ধরে নানা রকম কাজের জেরে হয় কিছু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে নয়তো বহু ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। আর যার জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ রেল যাত্রীদের। সাম্প্রতিক সময় শিয়ালদা রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের জেরে কয়েকশো ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় এদিকে হাওড়া ডিভিশনে ইন্টারলকিং কাজের জেরে বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেরিতে চলছে বহু ট্রেন। ফলে যাত্রীদের হয়রানি যেন থামার নামই নিচ্ছে না।
তবে এখানে কিন্তু শেষ নয় যাত্রীদের জন্য আগামী দিনে আরো ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বলে ইঙ্গিত দিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। আপনিও যদি নিত্য এই যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য আপনার মাথায় রাখতে হবে।
বহু ট্রেনের সময় বদলে দিল রেল
সমায়িকভাবে হলেও বহু ট্রেনের সময় বদলে দিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। আর এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি অবধি জারি করল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। এদিকে রেলের তালিকা দেখে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ রেল যাত্রীদের।
যেমন আজ মঙ্গলবার ট্রেন নম্বর ১২৮৫৭ হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা ছিল সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু সেই ট্রেনটি ছাড়ল সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে।
এদিকে ট্রেন নম্বর ১২৮৫৮ দিঘা-হাওড়া তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস আজ দিঘা থেকে ছাড়ার কথা ছিল সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে। কিন্তু সেটি ছাড়ল বেলা ১২:০৫ মিনিটে।
ট্রেন নম্বর ২২৮৯৭ হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারি এক্সপ্রেস আজ হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা আছে দুপুর ১৪টা ২৫ মিনিটে। ছাড়বে বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিটে। এরপর ট্রেন নম্বর ২২৮৯৮ দিঘা-হাওড়া কাণ্ডারি এক্সপ্রেস আজ দিঘা থেকে ছাড়ার কথা সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে, কিন্তু ট্রেনটি ছাড়বে সন্ধে ৭টা ৫৫ মিনিটে।
অন্যদিকে ২২৮৬৩ হাওড়া-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস আজ হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা ছিল সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১টা নাগাদ।
৮ দিন ধরে ইন্টারলকিং-এর কাজ চলছে
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিগত ৮ দিন ধরে ইন্টারলকিং-এর কাজ চলছে হাওড়া ডিভিশনে। বিগত ২৯ জুন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আন্দুল স্টেশনের কাছে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। তা চলে আট দিন ধরে। আর এই কাজের জন্য একের পর এক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া থেকে শুরু করে বহু ট্রেনের রুট পরিবর্তন আবার বহু ট্রেনের যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছিল দক্ষিণ পূর্ব রেল। যে কারণে সাধারণ রেল যাত্রীদের।