প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল, বৃহস্পতিবার, চাকরিহারা শিক্ষকদের বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানে রীতিমত ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। সকাল থেকে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি ফিরে পেতে অবস্থানে বসেছিলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু রাতে বিক্ষোভকারীদের সেই অবস্থান তুলতে রীতিমত লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। আচমকা পুলিশ কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয় বিকাশ ভবনের সামনে। তারপরেই শুরু হয় পুলিশের তাণ্ডব। সেই ঘটনার প্রতিবাদে তাই আজ রাজ্যজুড়ে ‘ধিক্কার দিবস’ পালনের ডাক দিল চাকরিহারা শিক্ষকরা।
বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানে ধুন্ধুমার
গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের SSC দুর্নীতি মামলায় রায় একলহমায় তছনছ করে দেয় একাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর জীবন। কারণ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় এবং যোগ্য অযোগ্য আলাদা না করতে পারায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। মাসের পর মাস, বছরের পর দিনরাত পড়াশোনা করে চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু কয়েকজন অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য তাঁদেরকে ভুগতে হচ্ছে এই সমস্যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেন চাকরিহারারা। সকাল থেকেই এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বিকাশ ভবন চত্বরে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসা সেই চাকরিহারা শিক্ষকদের লাঠিপেটা করল পুলিশ।
ধিক্কার দিবস পালনের ডাক
যদিও পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার ‘অনুরোধ’ করা হলেও তাঁরা অবস্থান ছেড়ে ওঠেননি। যাঁরা সরকারি ভবনে কাজ করেন তাঁদের বের করার চেষ্টা করলে চাকরিহারারা নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন। সেই ইট-পাটকেল থেকেই নাকি আন্দোলনকারীরা আহত হয়েছেন। মারধর নয় পুলিশের বক্তব্য তারা কেবল লাঠি দিয়ে ঝামেলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। আর এই আবহেই এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ্যে এসেছে চাকরিহারা সংগঠন। যেখানে তুলে ধরা হয় ধিক্কার দিবস পালনের অনুরোধ।
আরও পড়ুন: নিউটাউন নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ আহ্বান জানিয়েছে যে আজ এই ধিক্কার দিবস পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্যের যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ থাকে। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের আহ্বায়ক মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘যে ভাবে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করা হলো, তার প্রতিবাদে আমরা আগামীকাল ধিক্কার দিবস পালন করব। আমরা প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের অনুরোধ করব, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ রাখার জন্য।’ অন্যদিকে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো-সহ ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যান্য চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই বিধাননগর হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |