শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ চাকরি আদায়ের দাবিতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিক্ষোভ, আন্দোলনে সমিল হয়েছিলেন রাজ্যের হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী। মেধা তালিকা বেরোনো থেকে শুরু করে কাউন্সিলিং-এর জন্যেও ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে নানা সমস্যার কারণে কিছুই হয় না। যদিও দফায় দফায় বিক্ষোভের পর জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ২০২৬ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্ট-এর হস্তক্ষেপের পর বহু চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়াও। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন এমন এক তথ্য দিয়েছে যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। এখন আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে এসএসসি কী বলেছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
কী বলছে এসএসসি?
এসএসসি সূত্রে খবর, কাউন্সিলিংয়ে ডাক পেয়েও হাজির হননি বহু চাকরিপ্রার্থী। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী ডাক পেয়েও কাউন্সিলিংয়ে হাজির হননি। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলা মাধ্যমের কাউন্সিলিং। তখন আরও বেশি করে চাকরি প্রার্থী আসেন কিনা সেদিকে নজর রাখা সম্ভব হবে।
আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া
গত সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৪ হাজারেরও বেশি নামের মেধাতালিকা প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সেইসময় সাংবাদিকদের জানান, আগামী মাসে দুর্গাপুজোর আগেই এই প্রার্থীদের নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। যদিও কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া একটু পরেই শুরু হয়েছে।
এই প্রার্থীরা উচ্চ প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে এসএসসি দ্বারা পরিচালিত রাজ্য স্তরের নির্বাচন পরীক্ষায় (এসএলএসটি) অংশ নিয়েছিল। ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং একই বছরের ৪ অক্টোবর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে আইনি জটিলতায় সবকিছু আটকে যায়।