এসএসসির প্রায় ২৩,০০০ চাকরি বাতিলের ঘটনায় ফুঁসছেন চাকরি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে সাফ সাফ জানানো হয়েছে যে আগামী ১৬ জুলাই পরবর্তী শুনানি অবধি শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা চাকরি করতে পারবেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, ৬ জুলাইয়ের পর কী হবে? এসকল প্রশ্নের মাঝেই এবার এক নতুন কাণ্ড ঘটালো এসএসসি, যা শুনে সকলেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন।
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এসএসসি কী এমন করেছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। ২০১৬ সালের এসএসসির সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। বলা হয়, এসএসসিকে দ্রুত যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা শীর্ষ আদালতকে দিতে হবে। এবার সেই তালিকাই সুপ্রিম কোর্টে তুলে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এই তালিকা দেখেই সকলের চোখ কপালে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার এসএসসি ৪ হাজার ৫৯৯ জনের বেআইনি নিয়োগের তালিকা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত পরিমাণে লোকজনের ভবিষ্যৎ কী হবে? বেআইনি নিয়োগ যে হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি। এদিকে SSC-র এহেন স্বীকারোক্তির কারণে অস্বস্তিতে যে রাজ্য পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
এই নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার জেরে ইতিমধ্যে শাসক দলের বেশ কিছু নেতা জেলে বন্দি রয়েছেন। আগামী দিনে কি এই ঘটনায় আরও অনেকে গ্রেফতার হবেন কি হবেন না তা এখনও জোর দিয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে না।অন্যদিকে আরও একটা প্রশ্ন থাকছে যে শাসকদলের কাছে মাথা নত করে যারা যোগ্য চাকরি প্রার্থী তাঁদের পাশে কি দাঁড়াবে এসএসসি?