সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ যেমন কথা তেমন কাজ। নতুন সড়ক নির্মাণের জন্য বিরাট পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মূলত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও কয়েক গুণ ভালো করতে খড়গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক (Kharagpur Morgram National Highway) তৈরির জন্য ৮৫ কোটি টাকা খরচ করল সরকার। আর জমিদাতাদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে।
খড়গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের জন্য ৮৫ কোটি টাকা খরচ করল রাজ্য
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বাংলায় ছয়টি অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন। যেগুলি হল রঘুনাথপুর-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি-কোচবিহার, জোকা-গারুড়ি এবং খড়গপুর-মোরগ্রাম। এগুলির মধ্যে খড়গপুর-মোড়গ্রাম নিয়ে এবার বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। একবার এই সড়ক তৈরি হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে আসা যাওয়ার সময়সীমা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবর, জমি কেনার জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে সরকারের তরফে। কোন কোন এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়েছে। এই জমি পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে। কয়েকটি এলাকায় জমি না দেওয়ার জন্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জেলা প্রশাসনের দাবি, নায্য দাম দিয়েই জমি নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কোথাও কোথাও জট পাকানোর চেষ্টা করছে।
প্রশাসনের নজরে ৯৮০ একর জমি
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৯৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলার উপর দিয়ে ৪৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। দামোদরের উপর জুজুটির কাছে নতুন একটি সেতু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে। ওই এলাকাতেই বর্ধমান পুরসভার জলপ্রকল্প রয়েছে। একসময় সেতু তৈরি নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। আপাতত পুরসভার জলপ্রকল্পের কাছে সেতু তৈরিতে কোনও বাধা নেই। ইতিমধ্যে মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম এলাকায় বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই দু’টি ব্লকে ৬০ শতাংশ জমি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভাতারের ৪০ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসন পেয়ে গিয়েছে। তবে বারবার সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খণ্ডঘোষ এবং বর্ধমান-১ ব্লক। যদিও এই সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে খবর। এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাকি জমির মালিকরাও চেক নিয়ে যাবেন।’