নেই পানীয় জল, মিড ডে মিলে ভাতের বদলে মুড়ি-চানাচুর! ভয়ঙ্কর দৃশ্য ঝাড়গ্রামের স্কুলে

Published on:

Mid Day Meal in Jhargram

প্রীতি পোদ্দার, ঝাড়গ্রাম: কোভিড অতিমারির পর থেকেই স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal in Jhargram) খাবারের মান সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে প্রশাসনিক দফতরে। খাবার তৈরির ক্ষেত্রে নানা ত্রুটি থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে অভিভাবকরা। কখনও খাবারে মিলছে মৃত টিকটিকি তো কখনও আবার খবরে মিলছে আরশোলা, মাকড়শা এবং ইঁদুরের দেহ, যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। আর এই আবহে একটি স্কুলে মিড ডে মিলে ভাতের বদলে মুড়ি চানাচুর খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঘটনাটি কী?

জানা গিয়েছে ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকায় নিউ টাউনশিপ প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ভাতের বদলে মুড়ি চানাচুর দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। স্কুলটি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম, ঝাড়গ্রাম থানা আর বিডিও অফিসের মাঝে রয়েছে। পাশে রয়েছে দুটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। এই বিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা আছে প্রায় ২৫০ জন। কিন্তু এই স্কুল সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হলেও প্রায় এক বছর ধরে স্কুলে পানীয় জলের পাম্প খারাপ। স্কুলের এই জল সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকবার প্রশাসনের দফতরে দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি বলেই অভিযোগ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।

প্রশাসনকে জানালেও মেটেনি সমস্যা!

দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা থাকায় প্রভাব পড়ছে বাচ্চাদের মিড ডে মিলের ওপর। কারণ মিড ডে মিলের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না। তাই শিশুদের পাতে ভাতের বদলে পড়ছে শুকনো মুড়ি ও চানাচুর। এই প্রসঙ্গে আইসিডিএস কর্মী চন্দনা সাহা জানিয়েছেন যে, ‘জলের সমস্যা প্রায় একবছর ধরে চলছে। কমিশনারকে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকাকেও বলা হয়েছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা কেউ করেনি। আমরা তাও মাঝে মধ্যে টাইম কলের জল এনে রান্না করি। কিন্তু স্কুলে ছিটে ফোঁটাও জল নেই।’

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার ওপর টাকার বৃষ্টি, ঘোষণা BCCI-র

এছাড়াও ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকায় নিউ টাউনশিপ প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিল রাঁধুনি দোলা খাতুন জানিয়েছেন, ‘এখানে কোনও পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। অনেক দূর থেকে জল এনে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ির রান্না হয়। এখানে জলের খুব কষ্ট। টাইম কলের জল ১ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে আসি। আবার টাইম কলের বন্দোবস্ত থাকলেও পুরসভা প্রত্যেক দিন জল দেয়ও না। কমিশনারকে বলেছি অনেকবার। কিন্তু সবাই নিশ্চুপ, এই প্রসঙ্গে কেউ কথা বলতে চায় না। ”

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group