প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গ্যাস না কিনেই অ্যাকাউন্টে ঢুকছে সাবসিডি! বিষ্ণুপুরে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসকে কেন্দ্র করে এমনই অভিযোগ উঠতে থাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে বেশিরভাগ গ্রাহক গ্যাস কিনলেও তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি জমা পড়ছিল না।
অনেক ক্ষেত্রেই আবার দেখা যাচ্ছিল যে গ্রাহকের অজান্তেই কোনও না কোনও কারণে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে গ্যাস সংযোগের ‘লিঙ্ক’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে মহা সমস্যা পড়তে হয়েছিল। আর এবার ঘটল সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা।
ঘটনাটি কী?
‘বর্তমান’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ বাসিন্দারা অভিযোগ জানাচ্ছেন যে কোনওকালে তাঁরা উজ্জ্বলার গ্যাস পাননি। কিন্তু, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাবসিডির টাকা ঢুকছে মাসে মাসে। তার জন্য এমনকি মোবাইলে ক্যাশমেমো নম্বর সহ মেসেজও ঢুকছে সেই বার্তা, আর তাতেই জানা গিয়েছে তাঁদের নামে অনেকেই উজ্জ্বলার গ্যাস তুলছে। কিন্তু, কে বা কারা সেই গ্যাস তুলছে, তা এখনও জানা যায়নি।
গ্যাস না কিনেও মিলছে সাবসিডি!
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে বহিরাগত কয়েকজন বিষ্ণুপুর মহকুমা বিদ্যালয়ের সামনে এক কর্মসূচির মাধ্যমে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল। সেই সময় কেন্দ্রের এই সরকারি গ্যাস পাওয়ার আশায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, নথিপত্র জমা নিলেও উজ্জ্বলা গ্যাস নিয়ে কোনো রকম আপডেট পাওয়া যায়নি। বছরের পর বছর কেটে গেলে সেই আশা ছেড়ে দিয়েছে অনেকে। এদিকে এলাকার অনেকেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম গ্যাসের সাবসিডি। কিন্তু কোথা থেকে কীভাবে ওই টাকা ঢুকছে, তা বুঝতে না পারায় বিষয়টিতে তেমন কেউ আমল দেননি। তবে বিনা কারণে সরকারি টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকছে জেনে অনেকেরই মনে আশঙ্কা তৈরি হয়।
এরপরই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করা শুরু করেন। এমনকি যারা তিনবছর আগে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সন্ধান না মেলায় বাসিন্দারা বেশ চিন্তায় পড়েন। উঠে আসছে কালোবাজারির প্রসঙ্গ। গ্রাহকদের একাংশের বক্তব্য, তিন বছর আগে যারা নথি নিয়ে গিয়েছিল, তারাই কৌশলে হয়ত বাসিন্দাদের নামে কানেকশন করিয়ে নিজেরাই ওই গ্যাস তুলে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অসম থেকে কোনও নোটিশ পাইনি! মমতার দাবি উড়িয়ে জানালেন ফালাকাটার অঞ্জলি শীল
এই প্রসঙ্গে HP গ্যাসের এক ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমাদের গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাস তোলেন। তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। তবে অনেকেই আমাদের অফিসে এব্যাপারে খোঁজ নিতে আসছেন। আমরা আধার কার্ড চেক করে দেখেছি, সেগুলি আমাদের এজেন্সিতে নথিভুক্ত নেই। বাইরের এজেন্সির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।” এদিকে দিনের পর দিন সরকারি টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতে থাকায় পরে বিপদে পড়তে হবে কি না, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে বহু মানুষ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |