সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার পারদ 45 ছুঁইছুঁই! আর এই আবহে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া কার্যত দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Summer Vacation) শেষ হওয়ার পর গত 2 জুন বিদ্যালয়ের তালা খুলেছে। কিন্তু এই তীব্র দাবদহে ক্লাসরুমের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। হ্যাঁ, ছোট ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্য এখন ঝুঁকির মুখে। ঠিক সে কারনেই প্রশ্ন উঠছে, আবারও কি গরমে ছুটি দেওয়া হবে? নাকি মর্নিং স্কুল হবে? সবটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
যখন ছুটি দেওয়া হয়, তখনই থাকে না গরম!
একাধিক অভিভাবকরা এখন জোর গলায় বলছে, আসল গরম যখন পড়ে, তখনই স্কুল খোলা থাকে। আর এ বছর গরমের ছুটি এপ্রিলের শেষের দিকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন প্রকৃতপক্ষে ভ্যাঁপসা গরমের ভাব এতটা আঁচ করা যায়নি। তবে এখন তাপমাত্রা 40 থেকে 45 ডিগ্রির মধ্যে ঘুরছে। আর এই তীব্র আদ্রতার দাপটে হাঁসফাঁস করছে কচি থেকে বুড়ো সবাই।
এখানেই শেষ নয়। শিক্ষাঙ্গন থেকে উঠে আসছে ভয়াবহ দৃশ্য! হ্যাঁ, বহু সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে প্রথম সপ্তাহেই উপস্থিতির হার হাতে গোনা কয়েকজন। শিশুরা স্কুলে গিয়ে কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনকি উত্তরবঙ্গে তো এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে।
মর্নিং স্কুল নিয়ে কী আপডেট?
প্রসঙ্গত, কিছু জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ মর্নিং স্কুল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল। গরমের দাপট সকালবেলা একটু কম থাকাতেই, তখন ক্লাস করানোটা উপযুক্ত সময় বলেই মনে করেছিল তারা। তবে সেই সিদ্ধান্ত নবান্ন থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন স্কুলগুলির মধ্যে একপ্রকার বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী সবার মধ্যেই সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্ত। সবথেকে বড় ব্যাপার, রাজ্যের স্কুলগুলিতে এক-একটি ঘরে 60 থেকে 70 জন করে ছাত্রছাত্রী বসানো হচ্ছে গরমের মধ্যে। কোনও সময় তো বিদ্যুৎও থাকে না। এমনকি এক ঘরে মাত্র এক-দুটি ফ্যানে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাস করানো কতটা যে দুর্বিষহ হচ্ছে, তা অনুভব করাটাও কঠিন। এর জেরে শিশুদের অসুস্থতা, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
আরও পড়ুনঃ পুশ ব্যাক করতে নয়া পদ্ধতি অসমের! ভারতের চাপে বিপাকে বাংলাদেশ
শিক্ষামহলের দাবি
এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক বা শিক্ষাবিদদের তরফ থেকে একটাই দাবি উঠে আসছে, এই গরমে স্কুল খোলা মানে শিশুদের জীবন নিয়ে খেলা। অনেকেই চাইছে, ফের গরমের ছুটি ঘোষণা করুক সরকার। নাহলে জেলায় জেলায় মর্নিং স্কুল বাধ্যতামূলক করুক।
যদিও নবান্নের তরফ থেকে এখনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বোর্ড স্তরে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সুত্র মারফত খবর। এখন শুধু দেখার, শিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |