প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দেখতে দেখতে অবশেষে শীতের আগমন। আর এই হিমেল বাতাসে শীতের মনোরম আবহাওয়াতেই পর্যটকেরা ভ্রমণের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে। এই সময়ে অনেকেই যেমন চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটিতে ভিড় বাড়ায় তেমনই সুন্দরবনে বাঘ দেখার জন্য অনেকে ভিড় বাড়ায়। তবে এবার সুন্দরবনে (Sundarbans) পর্যটনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বন দফতর। বাঘের সঠিক সংখ্যা পেতে বাঘ দর্শনের দিনক্ষণ পরিবর্তন করল সরকার।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের আনাগোনা দেখেছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই জঙ্গলে বাঘ সংখ্যায় কটা রয়েছে তা অনেকেরই জানা নেই। এমনকি বন দফতরের কাছেও সেই তথ্য নেই। তাই ঠিক করা হয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে সুন্দরবনে বাঘ গণনার প্রক্রিয়া। তাই সেই কারণে জঙ্গলে জঙ্গলে ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। মোট ১৪৪৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। ৪১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্যামেরা লাগানো থাকবে। সেই কারণে চলতি বছরেই আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এই কাজ করার জন্য সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল পর্যটকদের জন্য প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার করে বন্ধ থাকবে। তবে এই নিয়ম চিরস্থায়ী নয়। কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এই নিয়ম মানা হবে না।
কবে থেকে শুরু হবে এই কাজ?
বিশেষ সূত্রে জন্য গিয়েছে, আগামী ২১ নভেম্বর থেকে জঙ্গলে সম্ভবত ক্যামেরা বসাবেন বনকর্মীরা। তাই ২৬ তারিখের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ চলবে। এই জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আসলে এই ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘেদের যাতায়াত, দৌড়ে শিকার ধরা, শাবকদের নিয়ে মা বাঘের বিশ্রাম—সব ধরা পড়বে। আর তার সঙ্গে উঠে আসতে পারে নানা অজানা তথ্য।
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক জানান, “জঙ্গলের একটা বড় অংশ ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি যাতে ধরা পড়ে, তার জন্যই ৪৫ দিন জঙ্গলে রাখা থাকবে ক্যামেরা। সেক্ষেত্রে হতেই পারে কোনও বাঘ ক্যামেরা বসানো জায়গায় ৩০ দিন এল না। পরে ঘুরতে ঘুরতে সেখানে হাজির হল। তখন তার ছবি ধরা পড়বে।এই ক্যামেরা চালু হওয়ার পর তার ব্যাটারির আয়ু থাকে ৪৫ দিন পর্যন্ত। তাই সেই সময়টাকেই কাজে লাগানো হচ্ছে।”