DA মামলার পরের দিনই, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

Published:

SSC Case
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ জল্পনার ইতি টেনে 26 হাজার চাকরি বাতিলের রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি (SSC Case)। সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের ঠিক এক মাসের মাথায় তারা রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী 8 মে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

গত 3 এপ্রিলের ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে কার্যত টনক নড়ে যায় গোটা রাজ্যের। 2016 সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। মোট 25,735 জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। আদালতের যুক্তি ছিল- নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির জেরে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করা সম্ভবপর হচ্ছে না। তাই প্যানেল পুরোপুরি বাতিল করা ছাড়া আর দ্বিতীয় রাস্তা নেই।

আর এরপর থেকেই রাজ্য এবং এসএসসি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে রেখে পুনর্বিবেচনা করবে। এবার সেই পদক্ষেপী বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। রাজ্য সরকার ও এসএসসি শনিবার রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে সুপ্রিম কোর্টে। আর তাদের যুক্তি একটাই- যারা সত্যি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, তাদের চাকরি যেন না যায়। আদালত যেন বিষয়টিকে আবারও বিবেচনা করে।

কবে হবে শুনানি?

সুপ্রিম কোর্টের সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আগামী ৮ মে, বৃহস্পতিবার। আর ঐদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। এর ঠিক একদিন আগে ৭ মে সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানি হওয়ার কথা। পরপর দু’দিন সুপ্রিম কোর্টে দুটি হাইভোল্টেজ মামলার শুনানি রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, কার ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে। প্রসঙ্গত, সঞ্জীব খান্না আগামী 13 মে অবসর নিচ্ছেন। আর তার আগে দ্রুত শুনানি এবং রায় দেওয়ার সম্ভাবনায় দিন গুনছে চাকরিহারা প্রার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট খোলার নয়া নিয়ম, গ্রাহকদের লাভ না ক্ষতি?

উল্লেখ্য জানিয়ে রাখি, এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আবেদন জানিয়েছিল যে, এত শিক্ষক চাকরি হারালে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সেই আবেদনকে আস্থা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষকরা আপাতত স্কুলে যেতে পারেন এবং তাদের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে। তবে রাজ্যকে 31 মের মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ হাওড়া, শিয়ালদায় দেরিতে চলছে অজস্র ট্রেন! কারণ হিসেবে মানুষকেই দায়ী করল পূর্ব রেল

এখন রিভিউ পিটিশনে কী সিদ্ধান্ত নেয় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা, তা শুধু সময় বলে দেবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার যা টালমাটাল অবস্থা, তাতে চাকরিহারা প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ এই রায়ের উপরেই নির্ভর করছে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join