চাকরিপ্রার্থীদের ধাক্কা, হাইকোর্টের উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০০০ নিয়োগের রায় নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ

Published on:

supreme court

প্রীতি পোদ্দার নয়া দিল্লি: প্রায় ৮ বছর ধরে জট পাকিয়ে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ (Upper Primary Recruitment)। ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে বার বার নানা কারণে ১৪ হাজার পদে নিয়োগ স্থগিত হয়ে গিয়েছ। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তার পর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল, কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। শেষে গত ১৮ জুলাই বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ করে। এবং এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২৮ আগস্ট। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী।

হাইকোর্টের নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ চাকরিপ্রার্থীদের!

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, প্রথম দিকে উচ্চ প্রাথমিক মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অর্থাৎ SSC কে। এবং সেই মেধাতালিকার ভিত্তিতে তারা কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করবে বলে জানানো হয়। এরপরই আদালতের ওই রায়ের ফলে প্রায় আট বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল SSC। কিন্তু সেখানেও জট কাটেনি।

মামলার সর্বোচ্চ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট

জানা গিয়েছে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে সংরক্ষণ নীতির বিরোধী বলে দাবি তুলেছিল রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে জট তৈরি হয়েছিল। এবং শেষে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছিল। তবে সেই শুনানির মামলায় বড় ধাক্কা খায় চাকরিপ্রার্থীরা। চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ পক্ষ নেয় কলকাতা হাইকোর্টের।

এদিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে ১৪ হাজার শূন্যপদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। পরবর্তীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট আর হস্তক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগপত্র দিতে আর কোনো বাধা নেই। এই উচ্চ প্রাথমিক মামলায় যাঁরা নিয়োগের পক্ষে ছিলেন, তাঁদের আইনজীবী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই কারণে আজ তিনি হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

সঙ্গে থাকুন ➥