৪ মাস ধরে মিলছে না বার্ধক্য, বিধবা ভাতা! প্রকল্প বন্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার? ক্ষুব্ধ সবাই

Published on:

government scheme

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের সকল সাধারণ মানুষের কল্যাণে এবং স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একের পর এক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পগুলি সকলকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বেশ সাহায্য করেছে। তেমনই প্রবীণ নাগরিকদের জন্য যেমন প্রতি মাসে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে তেমনি রাজ্যের বিধবা মহিলাদেরকেও বিধবা ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ এই সুবিধা পেয়ে বেশ আপ্লুত। কিন্তু এই সুবিধার মধ্যেও এবার দেখা গেল চরম সমস্যা।

WhatsApp Community Join Now

এত দিন বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতা প্রকল্পে প্রতি মাসে বাবদ এক হাজার টাকা করে দেওয়া হত উপভোক্তাদের। যা দিয়ে অন্তত মাসিক হাত খরচা পাওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কেনা যেত। বেশ সুবিধাই হয়ত নাগরিকদের। কিন্তু বিগত ৪ মাস ধরে প্রতি মাসে ঢুকছে না বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতা। যার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা। এর আগেও মাঝে কয়েকবার টাকা ঢুকতে দু-এক মাস দেরি হয়েছিল কিন্তু পরে সেই টাকা ঢুকে গিয়েছে৷ কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অন্য রকম৷ সিউড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা।

চার মাস ধরে বন্ধ বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা

গ্রাহকরা অভিযোগ জানিয়েছে যে, চলতি বছর আগস্ট মাসের পর থেকে আর প্রাপ্য টাকা ঢুকছে না গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তবে পরে আগস্টের টাকা ঢুকেছিল অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে। এরপর ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টাকা ঢোকা। ফলে মাসিক খরচ সামলাতে বেশ বিপাকে পড়েছেন প্রবীণেরা। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় নথিভুক্ত হওয়া বার্ধক্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৭ জন। অন্যদিকে জেলায় বিধবা ভাতা পান ৮৭ হাজার ৪০৯ জন। এ ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য যে মানবিক ভাতা রয়েছে, তা পান ৪০ হাজার ৬৩ জন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের নথিভুক্ত প্রাপকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৯৭ জন। এগুলির মধ্যে এখন শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার ও মানবিক পোর্টালে নতুন করে নথিভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। তবে বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে নতুন নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া এখন বন্ধ।

কবে মিলবে টাকা?

আর তাতেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। প্রশ্ন উঠছে নয়া নাম নথিভুক্ত না হলেও যাঁরা অনেক আগে থেকে টাকা পাচ্ছেন, তাঁরা কেন এখন টাকা পাচ্ছেন না। সেই উত্তরে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘জেলা প্রশাসন শুধুমাত্র প্রাপকদের তালিকা পরীক্ষা করে। টাকা দেওয়ার এক্তিয়ার তাদের নেই। তবে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী যাঁরা নথিভুক্ত আছেন, তাঁদের টাকা ঢুকে যাবে দু-এক মাসের মধ্যে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X