প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৩ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে রাতারাতি মাথার ওপর থেকে ছাদ চলে গেল ২৬ হাজার শিক্ষাকর্মীর। যদিও আগের বছরই গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত নিয়োগ, অর্থাৎ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে চাকরিহারারা। পুলিশের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তি।
সারপ্লাস ট্রান্সফার স্থগিত রাজ্যের
শেষমেষ শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে এসএসসি৷ আর এই কথা খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন। কিন্তু এই আবহেই এবার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রশাসনিক বদলি (Surplus Transfer) স্থগিত করল রাজ্য। সূত্রের খবর, দুই বছর আগে ২০২৩ সালে প্রতিটি স্কুলে ছাত্র-শিক্ষকের সংখ্যার অনুপাত সঠিক রাখতে শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এক বিশেষ ‘সারপ্লাস ট্রান্সফার’-এর প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। এবার সেই প্রক্রিয়ার নির্দেশিকাই প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে এই প্রক্রিয়ায় যাঁরা এতদিন অবধি বদলি হয় এসেছেন, তাঁদের সকলকেই এবার পুরনো কর্মস্থলে ফেরানো হবে। শুধু তাই নয় এই প্রশাসনিক বদলির নামে দূরবর্তী স্থানে বদলি এবং চিকিৎসাজনিত কারণে বদলির আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।
চাপ সামলাতে না পেরে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের!
প্রশাসনিক রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে উচ্চপ্রাথমিকে ৪৮৯ জন এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে ৪৯০ জনের সারপ্লাস ট্রান্সফারের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬০৫ জনের বদলি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তার উপর এই বদলির মধ্যে ১২০ জনকে ‘মেডিক্যালি আনফিট’ বিভাগে বদলি করা হয়। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ১২০ জন বদলির বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পরবর্তীকালে তাই এই বিভাগের বদলি বাতিল করা হয়। কিন্তু তবুও শিক্ষকদের বদলি বিতর্ক থামছে না। এর পরও নানা বিভ্রান্তি এবং হয়রানির অভিযোগ উঠে আসছিল। এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারের অভিযোগ, রাজ্যের প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগের ব্যবস্থা না করে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ‘সারপ্লাস ট্রান্সফার’-এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার তাই সেই নির্দেশ স্থগিত করল রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ লটারি কেটে লক্ষ্মীলাভ ৭ রাশির, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে হবে ধনবর্ষা
যদিও বদলি সংক্রান্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহারের অন্যতম কারণ হিসেবে বিকাশ ভবন ব্যাখ্যা করেছে যে, এইমুহুর্তে রাজ্যেরপ্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্বেগের শেষ নেই। এই আবহে তাই শিক্ষকদের নিয়ে নতুন করে কোনও আইনি জটিলতা চাইছে না রাজ্য সরকার। আর বদলির নির্দেশ স্থগিত হওয়ায় বেশ খুশি বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। এই ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের দাবি, ‘‘বহু দিন ধরে এই বদলির বিরুদ্ধে লড়াই চলছিল, আসলে শিক্ষক-শিক্ষিকদের অনেক দূরে ট্রান্সফার করে দেওয়ায় অসুবিধা হচ্ছিল। অবশেষে সেই সমস্যার জট কাটল।’’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |