প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে ধরা পড়ল গভীর জলের মাছ! পর্নকাণ্ড এবং সোদপুরের তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় (Sodepur Woman Assault Case) অভিযুক্ত শ্বেতা খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দুপুরে শ্বেতাপুত্র আরিয়ান খানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতার আলিপুর এলাকা থেকে রাতে গ্রেফতার করা হয় শ্বেতাকে। পাঁচ দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পরে অবশেষে মা-ছেলে দু’জনকেই পাকড়াও করলেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রোডাকশন হাউস খুলে আড়ালে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছিল মা শ্বেতা খান এবং ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা এক তরুণীকে দিনের পর দিন হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই মা ও ছেলে দুজনেই গা ঢাকা দেয়। অবশেষে গতকাল বহু খোঁজাখুঁজির পর প্রায় এক সপ্তাহ পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল ছেলে আরিয়ান খান।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল শ্বেতাকে!
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে কলকাতার গল্ফ গ্রিন এলাকা থেকে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে জয়া নামের এক মহিলাকেও আটক করা হয়েছে। কিন্তু তখনও খোঁজ মেলেনি শ্বেতা খানের। তদন্ত জারি ছিল। অবশেষে নিরাশা করেনি হাওড়া পুলিশ। গতকাল রাতেই আলিপুরে ভবানীভবনের কাছে একটি এলাকা থেকে ধরা হল ডোমজুড়ের পর্ন কাণ্ডের ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা খানকে।
ধরা হয়েছে শ্বেতার নাবালিকা কন্যাকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শ্বেতার মাকেও। এবার হাওড়া পুলিশ মুখোমুখি মা ও ছেলেকে বসিয়ে জেরা করতে চলেছে সোদপুরের তরুণীকে শারীরিক অত্যাচারের ঘটনায়।
ছোট মেয়েকেও উদ্ধার পুলিশের
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেরোর মেয়েকে এক পরিচিতের কাছে রেখে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সোদপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শ্বেতা। লোকেশন ট্র্যাক হওয়ার ভয়ে নিজের মোবাইল ব্যবহার করছিলেন না তিনি। কিন্তু অন্য কারও মোবাইল থেকে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।
সেই ঘনিষ্ঠদের মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্য ‘ট্র্যাক’ করছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বারবার নিজের স্থান পরিবর্তন করছিলেন শ্বেতা। শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। আজই হাওড়া আদালতে পেশ করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অবশেষে সোদপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ান খান! কোথায় লুকিয়ে শ্বেতা খান? চলছে খোঁজ
অন্যদিকে বেগম শ্বেতা খানের বাঁকড়ার ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার পিছনেই অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তাই ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে ইতিমধ্যে আদালতের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাটে বাইরে থেকে নতুন করে একটি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তালা ঝোলানো হয়েছে শ্বেতাদের গ্যারাজ ঘরেও।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |