প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই খবরের শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। কার্যত এক অস্বস্তিমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর এই আবহেই গৌতম আদানিদের বিরুদ্ধে শেয়ার দর বাড়িয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে তাজপুর বন্দরের (Tajpur Sea Port Project) ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। আর সেই জল্পনার মাঝেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আদানিদের থেকে তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টেন্ডার ফেরৎ নিয়েনিল।
তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ নিয়ে সংশয়!
পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে তাজপুর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের জন্য গ্লোবাল দরপত্র ডাকা হয়েছিল। আর সেই গ্লোবাল দরপত্রের টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় তাজপুর বন্দর গড়ার ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীকে নির্বাচন করে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সম্মতি জানিয়েছিল। কিন্তু এতকিছুর পরেও দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হয়নি। আর এই আবহে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আদানি গোষ্ঠীর টেন্ডার বাতিল করা হল।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রিনফিল্ড প্রযুক্তিতে বন্দর তৈরি হওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপর একাধিকবার এই গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অবশেষে সেই জল্পনায় জল ঢেলে বাতিল করা হল আদানি গোষ্ঠীকে। নবান্ন সূত্রে কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও জাহাজ মন্ত্রকের কাছ থেকে তাজপুর বন্দর নির্মাণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র চাওয়া হয়। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, সামগ্রিকভাবে সমস্ত শর্ত পূরণ করতে পারেনি আদানি গোষ্ঠী। তাই ছাড়পত্রও মেলেনি। সেই কারণে এই প্রকল্প আর আদানিদের হাতে রাখেনি সরকার।
আরও পড়ুন: ‘SSC-র নয়া বিজ্ঞপ্তি অবৈধ!’ মামলা দায়ের হাইকোর্টে, কবে শুনানি?
প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাজপুর বন্দর প্রকল্প নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। তখনই রাজ্য মন্ত্রিসভা এই টেন্ডার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে নতুন করে ফের তাজপুর বন্দর প্রকল্পের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, আদানি গোষ্ঠীর কাজের বেশিরভাগটাই যন্ত্রনির্ভর। অর্থাৎ ‘ম্যান পাওয়ার’ কম ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যে কর্মসংস্থান একদমই কম থাকবে বলেও রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |