প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে বেআইনি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো কিংবা বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানোর জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাঁচ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেই সময়ে ঠিক হয়েছিল রাজ্য পুলিশেও এসটিএফ থানা তৈরি করা হবে। সেই সূত্রে কিছু দিন আগে রাজ্য পুলিশের নিজস্ব দু’টি এসটিএফ থানা তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে যেন পৃথক থানা নির্মাণ করা হয়। আর এবার সেই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত পড়তে চলেছে।
রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এবার দুই পৃথক থানা
জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এবার কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের মতো এ বার রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ পেতে চলেছে দুটি পৃথক থানা। আর সেই দুই থানা হল কলকাতা এবং শিলিগুড়ি। খুব শীঘ্রই এই দুই থানার ছাড়পত্র মিলতে পারে। বর্তমানে ওই প্রস্তাব মুখ্যসচিবের বিচারাধীন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যার ফলে আশা করা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এই দুই পৃথক থানা পাবে। আবার সদর দফতর থানার অধীনে থাকবে খড়্গপুর এবং দুর্গাপুর।
বিচারপর্বের জন্য ছুটতে হবে না আদালতে!
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে রয়েছে এসটিএফের সদর দফতর। সেখানেই এসটিএফ বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা এবং গোয়েন্দারা বসেন। এ ছাড়াও, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, খড়্গপুর এবং দুর্গাপুরে ইউনিট রয়েছে এসটিএফের। কিন্তু এক বিশেষ প্রস্তাবে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মালদহ ইউনিটকে নিয়ে শিলিগুড়ি থানার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে থানা গঠন হলে তদন্ত কিংবা বিচারপর্বের জন্য রাজ্য পুলিশের এসটিএফে গোয়েন্দাদের আর গোটা রাজ্যের বিভিন্ন থানা বা আদালতে ছুটতে হবে না বলে জানা গিয়েছে।
তখন এসটিএফের জন্য নির্দিষ্ট আদালতেই বিচারপর্ব হবে কিংবা রাজ্যের যে কোনও জায়গায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও বিশেষ আদালতেই তাদের তোলা হবে। যেহেতু পৃথক থানা বা বিশেষ থানা বা আদালত নির্মাণ হয়নি তাই জঙ্গি, মাদক কিংবা অস্ত্র কারবারি দমনের জন্য তৈরি এসটিএফকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের থানায় মামলা রুজু করতে হয়। যার ফলে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়। তাই সেই সময় যাতে এবার নষ্ট না হয় তার জন্য নেওয়া হচ্ছে এই উদ্যোগ।