প্রীতি পোদ্দার, শালবনী: পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড যখন খবরের শিরোনামে বার বার উঠে আসছে সেখানে কয়েক বছর আগে খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটির অধীনে থাকা ভীমপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে ‘অবৈধ’ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। যার ফলে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন ডিআই চাপেশ্বর সর্দার। বর্তমানে হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আর এই আবহে এবার ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে আর একটি অভিযোগ উঠে এল।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী জানা গিয়েছে কোনও শিক্ষক যদি ৪৫ দিনের বেশি ছুটি নিয়ে নেয় তাহলে সেটি ‘বিনা বেতনের ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটল সম্পূর্ণ উল্টো। এক শিক্ষিকা প্রায় সাড়ে চার মাস স্কুলে না এসেও ঠিক বেতন পেতে যাচ্ছেন। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই পরে গেল শোরগোল।
ঘটনাটি কী?
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে এক অঙ্কের শিক্ষিকা গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে পুজোর মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে থেকে তিনি তাঁর স্বামীর কাছে আমেরিকায় রয়েছেন। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে তিনি বিদ্যালয়ে আসছেন না। কিন্তু অভিযোগ প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঠিক ঢুকে যাচ্ছে বেতন। আর এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ।
কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা?
জানা গিয়েছে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত। এমনকি চলতি মাস অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি শিট এর সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের কিছু বলব না।’
আরও পড়ুনঃ বাজেটের আগেই বড় উপহার! অজস্র পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নবান্নর, কারা পাবেন চাকরি?
মাসের পর মাস এইভাবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার বেতন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এরকম একটি ভয়ংকর এবং বেআইনি অভিযোগ কানে এসেছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে এই গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’