প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এই মুহূর্তে চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Pariksha) শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। সদ্যই এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার গাইডলাইন। এছাড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার বা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে যেসব শিক্ষক শিক্ষিকা থাকবেন, তাঁদের জন্যও আনা হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার। তার মধ্যেও রয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। এবং পর্ষদের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে যদি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা এই গাইডলাইন না মেনে কাজ করে তাহলে তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হবে। যার ফলে কয়েক জায়গায় বিতর্কের পারদ চড়ছে।
পরীক্ষার আগে ভেন্যু সুপারভাইজারের দাবি শিক্ষকদের
আর এই আবহে শিক্ষক, শিক্ষিকারা জানিয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে সারতে ‘মেন ভেন্যু’ বা প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন করে ‘ভেন্যু সুপারভাইজার’ বা তত্ত্বাবধায়ক প্রয়োজন। আসলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটা প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রের অধীনে বেশ কয়েকটি যেগুলোকে বলা হয় মেন ভেন্যু। এর অধীনে থাকা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে বলা হয় ‘সাব-ভেন্যু’। প্রতিটি ‘সাব-ভেন্যু’তে এক জন করে ‘ভেন্যু সুপারভাইজার’ থাকেন যিনি সাধারণত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হন। তিনিই পরীক্ষাকেন্দ্রের দেখভাল করেন। এবং প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে যিনি সেন্টার সেক্রেটারি, তিনি তাঁর অধীনে থাকা সাব-ভেন্যুগুলোর দেখভাল করে থাকেন।
কেন এমন দাবি শিক্ষকদের?
অন্যদিকে ‘সেন্টার সেক্রেটারিও’ সাধারণত স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক হন। অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক ভেন্যু সুপারভাইজার এবং সেন্টার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে থাকে। এদিকে থানা থেকে প্রশ্নপত্র প্রথমে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের অধীনে থাকা বিভিন্ন ‘সাব-ভেন্যু’তে যায়। প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র বিলি বা উত্তরপত্রের ঠিকঠাক ফিরে আসার দেখভাল করেন প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ সেন্টার সেক্রেটারি। সেক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে অসুবিধা হলে তাঁকে সেখানে যেতে হয়।
একই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে তাই দরকার আরও এক সংশ্লিষ্ট ‘ভেন্যু সুপারভাইজারের’। যিনি সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। তা না হলে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও গোলমাল হলে আশেপাশের পরিস্থিতিতে খারাপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিক্ষকদের এই দাবিকে ঘিরে কোনো রকম সিদ্ধান্ত বা নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।