ভয়ঙ্কর কাণ্ড মুর্শিদাবাদে! ঘুমন্ত শিক্ষকদের উপরে চড়াও ছাত্ররা, গুরুতর আহত ৫

Published on:

Murshidabad

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ঘুমন্ত অবস্থা শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করল পড়ুয়ারাই! হাতে উইকেট, রড, লাঠি দিয়ে রাতের অন্ধকারে স্কুলে চালানো হল তাণ্ডব! তড়িঘড়ি পাঁচজন শিক্ষককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পরিকল্পনা করে হামলা করার অভিযোগ উঠে আসছে ওই মিশনের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তদন্তের পথে নামতে চলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আল আমিন মিশনে গত শনিবার অর্থাৎ ৩০ আগস্ট, রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রায় ৫ শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করে ছাত্রদের একাংশ। অভিযোগ, ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় দেড়টা। সেই সময় মুখে কাপড় বেঁধে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘুমন্ত শিক্ষকদের উপর উইকেট,রড,লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তারা। চলে বেধড়ক মারধর। প্রমাণ লোপাটের জন্য স্কুলে সিসিটিভি ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় শিক্ষকদের মোবাইল নিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। এইরূপ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।

কেন এই তাণ্ডব?

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আল আমিন মিশনের এই হাড়হিম করা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ যে সকল ছাত্ররা এই হামলা কাণ্ড চালিয়েছিল, তারা দশম শ্রেণির ছাত্র। আসলে ওই দিন সকালে স্কুলে খেলার সময়ে দশম এবং নবম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। দশম শ্রেণির ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের মারতে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সময় বন্ধ দেন শিক্ষকেরা। তাদের বলা হয়েছিল, পরীক্ষার পর এই সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু তাতে যে এই পরিণতি হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আহত শিক্ষকেরা হলেন ইকবাল হোসেন, গোলাম মোজতোবা, শরিফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান ও মোরসালিন আনসারি নাম এক স্কুলের কর্মী।

আরও পড়ুন: DA না বাড়ালেও এক দাবি মানল রাজ্য সরকার, নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে মুখে হাসি ৭ লক্ষ কর্মীর

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

লালগোলার বাসিন্দা ওরফে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আল আমিন মিশনের আহত এক শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, “ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা তাদেরকে মারধর করতে শুরু করে ছাত্ররা। আমি নিশ্চিত এই ঘটনা ঘটিয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্ররা। তারা মুখ ঢেকে এসে আচমকা হামলা চালিয়েছিল। চোখ সহ পুরো শরীরে মারধর করে। আমি বেহুশ হয়ে পড়েছিলাম।” তবে আহতদের আশঙ্কা, ছাত্রদের ইন্ধন দিয়েছেন স্কুলেরই শিক্ষক। যদিও আল আমিন মিশনের তরফে জাকির হোসেন মন্ডল অবশ্য জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥