প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal)। যার ফলে বদলি প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই পারস্পরিক এবং বিশেষ বদলির অনেক আবেদন পোর্টালে জমা পড়ে ছিল। এমনকি অফলাইনের মাধ্যমে সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। অবশেষে নানা সমস্যা বাঁধার পর অবশেষে দীর্ঘ আড়াই বছর পর ফের চালু হতে চলেছে উৎসশ্রী পোর্টাল। তবে সব ধরনের বদলিতে আপাতত সায় দেয়নি রাজ্য সরকার। কেবলমাত্র মিউচুয়াল ট্রান্সফারে সম্মতি দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও এবার সমস্যা তৈরি হল।
পোর্টাল খুলেও মেটেনি ঝামেলা
জানা গিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে পারস্পরিক বদলি চালু হলেও আবেদন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। কারণ বিষয়ভিত্তিক বদলির ক্ষেত্রে পোর্টালের ওয়েবসাইটে রয়েছে স্কুলের পুরনো লিস্ট। একই সাথে ন্যূনতম পাঁচ বছর কাজ না করলে বদলির আবেদনে রয়েছে বিধিনিষেধ। তাই সবমিলিয়ে ইচ্ছা থাকলেও বদলির আবেদন করা যাচ্ছে না বলে। যা নিয়ে এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এই নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিকাশ ভবনে। কিন্তু তার পরও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ সকলের।
আসলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজের জেলা থেকে দূরে চাকরি করা নিয়ে নানা সমস্যা পোহাতে হয়। যার ফলে একদিকে যেমন যাতায়াতে তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, ঠিক তেমনি বাড়তি পরিবহন খরচও করতে হয়। শুধু তাই নয় যাতায়াতে এতটাই পরিশ্রম হয় যে ক্লান্তির ফলে পাঠদান করতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন ছাত্র-ছাত্রীরা। সেইসঙ্গে শিক্ষকরা তাঁদের পরিবারকেও ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। তাই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে চাকরি স্থান বদলির আবেদন করা হয়ে থাকে।
কী বলছেন বঙ্গীয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক?
কিন্তু এদিকে অভিযোগ জানানোর পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার ফলে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, অবশেষে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু করার জন্য পোর্টাল খুলে দিয়েছে প্রায় আড়াই বছর পরে। কিন্তু এতে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের কোনও লাভই প্রায় হচ্ছে না। পাঁচ বছরের ‘লকিং পিরিয়ড’ করার সিদ্ধান্ত অনেক শিক্ষকের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তাই শিক্ষা দফতর যেন এটা দু’বছর করার জন্য করে দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে যাদের প্রোফাইল লক হয়ে আছে সেগুলি শীঘ্রই খুলে দেওয়া উচিত।