প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভারী বৃষ্টির জেরে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি সিকিমে! এদিকে সমান তালে ফুঁসছে পাহাড়ি কন্যা তিস্তা নদী। সোমবার রাতে সিকিম পাহাড়ে প্রবল বর্ষণের ধাক্কায় ভূমিধস ও হড়পা বানে লণ্ডভণ্ড দশা বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিংয়ের একাধিক অঞ্চল। এমতাবস্থায় শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে হয়ে চলেছে তিস্তা। পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি সমতল অঞ্চলেও বাড়ছে বিপদ।
ভাইরাল তিস্তার ভয়াবহ ভিডিও
ভাইরাল ভিডিও সূত্রে জানা গিয়েছে সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। তার উপর অতিভারী বৃষ্টির জেরে এই পাহাড়ি নদীর জলে ভেসে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে সিকিম-কালিম্পং-শিলিগুড়ি যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় ব্যাহত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেভক ও রংপোর মধ্যে যান চলাচল। জানা গিয়েছে, সেভক-রংপো এবং সিংতাম ও রংপোর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসেও অবরুদ্ধ হয়েছে জাতীয় সড়ক। সিকিমের গ্যাংটক জেলায় কয়েকটি রাস্তা ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে। গ্যাংটক শহরে কাদা মাটিতে তলিয়ে গিয়েছে প্রচুর গাড়ি ও বাইক।
ভারী বৃষ্টির জেরে রুদ্রমূর্তি ধারণ তিস্তার
জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাতে অতিভারী বৃষ্টির জন্য রীতিমত লণ্ডভণ্ড অবস্থা সিকিমের গ্যাংটক শহরে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটানা তুমুল বৃষ্টি হয়েছে সিকিমের বিভিন্ন জেলায়। তারই জেরে পাহাড়ি নদী তিস্তা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। গাজলডোবা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই নদীর দু’পাশের কয়েকশো বিঘা জমি এই মুহূর্তে জলের নিচে চলে গিয়েছে। জলবন্দি হয়ে আছেন এই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। এমনিতেই বর্ষার বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। তার উপর দিনের পর দিন ভারী বৃষ্টি বিপদসীমা লঙ্ঘন করেছে। কৃষিকাজেও ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
ক্ষতির মুখে কৃষকরা
এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে সেখানকার কৃষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, প্রতিবছর তিস্তার চরে লংকা, বেগুন ঢেঁড়স-সহ বিভিন্নরকম শাকসবজির চাষ করা হয়। যা বিক্রি করে দু’পয়সা উপার্জন করেন তাঁরা। কিন্তু আপাতত কয়েকশো বিঘা জমির ফসল চলে গিয়েছে জলের তলায়। যার জেরে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। চুজাচেন নির্বাচনী এলাকার দলপাচাঁদের চাগেলাখার দিকে যাওয়ার টার্নিং পয়েন্টের কাছে বিরাট ভূমিধস নেমেছে। রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়েছে। এমনকি তারখোলায় ভূমিধস নেমেছে ভয়াবহ ভাবে, যার জেরে ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে সিংতাম-ডিকচু এবং নামথাং-নামচি রোড।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে চিকেনের দাম! ব্রয়লার মুরগি না পাঠানোর হুঁশিয়ারি ঝাড়গ্রামের ব্যবসায়ীদের
উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের উদ্ধারকার্য নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি অভিযানে নেমেছে এসএসবির ৭২ ব্যাটালিয়ন। জওয়ানরা ইতিমধ্যে রিম্বি-দারাপ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে। তবে হাওয়া অফিসের তরফে জানা গিয়েছে, আগামী চারদিন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনিবার থেকে সোমবার মধ্যে এখানে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে তিস্তাপাড়ের বেশ কিছু পরিবারকে সরানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |