প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। গত মাসের ৭ এবং ১৪ তারিখ দুই দফায় মিটেছে পরীক্ষা। তবুও কাটেনি সংশয়। এমতাবস্থায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হল আরও একটি মামলা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আরও একটি সুযোগের দাবি নিয়ে শেষে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
নিয়োগ নিয়ে ফের মামলা হাইকোর্টে
রিপোর্ট অনুযায়ী গত বুধবার অর্থাৎ নবমীর দিন কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনের ভিত্তিতে মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে যে ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা যেন আরও একটি সুযোগ পায়। আসলে আগেই আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল যে বাংলা, ইংরেজি ও চাইল্ড সাইকোলজি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে একটি রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু আদালতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েনি।
কবে হবে শুনানি?
এদিকে কমিটির রিপোর্ট জমা না পড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, মাত্র এক-দু’নম্বরের জন্য তাঁরা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, যদি এতদিনে ঠিকঠাকভাবে রিপোর্ট জমা পড়ে তাহলে অনেকেই উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হতে পারেন। তাই এসব দাবি মাথায় রেখেই ফের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা তোলা হয়। যদি এই আবেদন গ্রহণ করা হয় তাহলে তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যোগদান করতে পারবে। আর সেটা যদি না হয় তাহলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হোক। আশা করা যাচ্ছে মামলার শুনানি হতে পারে আজ অর্থাৎ ৩ অক্টোবর।
আরও পড়ুন: সকাল সকাল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুর্গাপুরে উল্টে গেল গুড় বোঝাই লরি
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৩,৪২১টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে দুর্গাপুজো শেষ হলেই নাকি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই তার আগেই এই মামলা। প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্ট আগেই তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। প্রথমে কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে সেই কমিটি তৈরি হলেও, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট জমা পড়েনি। আর তাই নিয়েই এবার চরম অসন্তোষ তৈরি হল অনুত্তীর্ণদের।