প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বহু বিতর্কের মাঝেই গত ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ (The Bengal Files)। ট্রেলার লঞ্চ থেকেই শুরু হয়েছিল একাধিক বিতর্ক। এমনকি আইনি মামলাও চলে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বক্স অফিসে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি বিবেকের এই বিতর্কিত ‘ফাইলস’ ট্রিলজির শেষ ভাগ। কোনওক্রমে এক সপ্তাহে ১০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এর ঝুলিতে এসেছে ১১.২৫ কোটি। এমতাবস্থায় বাংলায় এবার প্রথমবার দেখানো হতে চলেছে এই বিতর্কিত সিনেমা।
বাংলায় দেখানো হবে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’!
দেশজুড়ে নানা প্রেক্ষাগৃহে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ দেখানো হলেও, বাংলার এই সিনেমা প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যদিও সেই কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে এই সিনেমা না দেখানোর পিছনে একমাত্র শাসকগোষ্ঠীর হাত রয়েছে। তাই এবার সেই সিনেমা দর্শকদের দেখানোর বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত সমাজ-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘খোলা হাওয়া’। জানা গিয়েছে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল চারটের সময় দ্য বেঙ্গল ফাইলসের প্রদর্শনী হবে দক্ষিণ কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরির ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভাষা ভবনে। তবে সকলে নয়, শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরাই উপস্থিত থাকবেন সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে।
পুলিশি অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সজল ঘোষ
সম্প্রতি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ এর প্রদর্শনীর খবরটি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘খোলা হাওয়া গর্বের সঙ্গে কলকাতায় প্রথমবার প্রদর্শন করতে চলেছে আইকনিক ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস।’ জানা গিয়েছে, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং অভিনেত্রী পল্লবী যোশী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘প্রদর্শনীর ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আদৌ অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রাজ্যে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। ছবিটি রাজ্যে মুক্তি পেতে দেওয়া হয়নি। তাই এ বারও আদৌ প্রদর্শনী হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।’
আরও পড়ুন: সেন্সর হওয়ার পরেও হম্বিতম্বি! ফের শান্তা দত্তকে চ্যালেঞ্জ অভিরূপের
শাসকদলের তরফ থেকে ধেয়ে এল কটাক্ষ
প্রসঙ্গত, আগামীকাল খোলা হাওয়া সংগঠনের তরফ থেকে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ মুক্তি পাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘দেশজুড়ে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে কিন্তু মানুষ দেখছে না। পরিচালক কাঁদছেন। কয়েক দিন আগে পরিচালকই বলেছিলেন, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই। পরে ভুল শুধরে বলা হল, চট্টোপাধ্যায় নয়, অরিন্দম ঠাকুর। বাঙালিরা ভাগ্যবান, অন্তত বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র বলেননি।’ এমনকি ব্রাত্য বসুও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, “ওদের ছবি প্রদর্শনের অধিকার আছে। কিন্তু দ্য বেঙ্গল ফাইলস গোটা দেশেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ছবিটির ব্যবসাও খুব খারাপ। মিডিয়া, রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাচ্ছেন না বলেই পরিচালক কাঁদছেন।”