দিঘার আদলে কলকাতায় হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির! কালই হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা, পিছনে কে আছে জানেন?

Published:

The Jagannath temple is being built in Calcutta on the model of Digha
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এবছরের অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধন করেছেন। আর সেই মন্দিরের উদ্বোধন পর্ব নিয়ে এখনো রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলছে। তবে বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এবার নাকি কলকাতাতেও তৈরি হচ্ছে দিঘার মতো জগন্নাথ মন্দির। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে, দিঘাতে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দির প্রতিষ্ঠায় বিরাট উদ্যোগ রেখেছিলেন, এক্ষেত্রও এক তৃণমূল নেতার হাত থাকছে।

কোন তৃণমূল নেতার কথা বলছি আমরা?

আসলে আমরা বলছি বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার 108 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কথা। হ্যাঁ সুশান্ত ঘোষ, যিনি বোরো-11 এর চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, গত বছর নভেম্বর মাসে কসবায় নিজের বাড়ির সামনে আততায়ীদের গুলির হাত থেকে কোনোরকমে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। আসলে সেবার আততায়ীরা গুলি চালালেও বন্দুক ঠিকভাবে কাজ করেনি। আর তার জন্যেই প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত।

গুলির হাত থেকে বাঁচার জেরেই এই জগন্নাথ মন্দির?

এখন রাজনৈতিক মহলে এই মন্দির নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেউ কেউ দাবি করছে, আততায়ীদের গুলির হাত থেকে বাঁচার কারণেই কি এবার তিনি জগন্নাথ মন্দির বানাচ্ছেন? আসলে কলকাতার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরে নির্মিত হচ্ছে এই জগন্নাথ মন্দির। আর এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর বলেছেন, এই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে নভেম্বর মাসে আত্মীয়দের গুলির হাত থেকে বাচার কোন সম্পর্ক নেই।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন যে আমি ধার্মিক মানুষ ছোটবেলা থেকেই আমি জগন্নাথ দেবের ভক্ত। মুখ্যমন্ত্রী যখন দীঘায় জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন সেখান থেকেই আমার আগ্রহ ছিল এরকম এক মন্দির প্রতিষ্ঠা করার। তবে হ্যাঁ, দেড় বছর আগে আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু তখনঅর্থাভাব দেখা গিয়েছিল আমি প্রচুর মানুষের কাছে সাহায্যও চেয়েছিলাম। তারা সকলেই আমাকে সাহায্য করেছে আর এবার মহাপ্রভুজ জগন্নাথের কৃপায় আমি তা নির্মাণ করতে পেরেছি।

আরও পড়ুনঃ টিকিটে ৩৩% ছাড়, ঘুরে দেখা যাবে সব ধর্মীয় স্থান, তীর্থযাত্রীদের জন্য দারুণ অফার রেলের

এই মন্দিরের বিশেষত্ব কী?

প্রসঙ্গত আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি এই মন্দিরের প্রধান বিশেষত্ব এখানে কেবলমাত্র জগন্নাথ দেবেরই পুজো হবে। থাকবে না কোন বলরাম বা সুভদ্রার মূর্তি। জানা যাচ্ছে কোনও মন্দিরের নাম অনুকরণ করে এই মন্দিরের নাম রাখা হয়নি। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই মন্দির উদ্বোধনের প্রক্রিয়া। জানা যাচ্ছে, পুরীর মন্দিরের ১২ জন পুরোহিতকে এখানে পুজো করার জন্য রাখা হয়েছে। আর আজ যজ্ঞ অনুষ্ঠানের পর এই মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এমনকি সোমবার বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন উদ্বোধন হবে এই মন্দির। আর ওইদিনই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join