সঞ্জয়ের কপালে দুঃখ, নেই বাঁচার উপায়! রাজ্য সরকারের পর এবার CBI যা করল, চাপে ধর্ষক

Published on:

calcutta high court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছরের ৯ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা। সেই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যে শুধু রাজ্য তোলপাড় হয়ে উঠেছিল তা কিন্তু নয়, বিচারের দাবিতে ক্ষেপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সকলের একটাই দাবি ছিল, তরুণী চিকিৎসকের এই পরিণতির জন্য যে বা যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি হোক। এদিকে কলকাতা পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল যে এই ঘটনায় শুধু একজনের হাত নেই লুকিয়ে রয়েছে আরও অনেকে। যা নিয়ে একের পর এক মামলা কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে।

হাইকোর্টে সঞ্জয়ের ফাঁসির আর্জি CBI-এর

WhatsApp Community Join Now

এরপর আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে শিয়ালদা আদালতে। অবশেষে গত সোমবার আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। তবে এই রায় মেনে নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সঞ্জয়ের ফাঁসি দাবি চেয়ে পরেরদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এবং রাজ্য সরকার আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা বলে দাবি জানিয়েছে। সেই একই দাবিতে এবার আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে CBI ও। আজ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিনক্ষণ সম্পূর্ণ জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

মামলার শুনানির দিন ঘোষণা

আদলত সূত্রে জানা গিয়েছে উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার ধৃত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির মামলাটি শুনবে। গত বুধবার রাজ্যের আবেদনের শুনানির সময়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, হাইকোর্ট মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। জানতে চায় সঞ্জয়ের বয়ানও।

এমনকী নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে রাজ্য মৃতার পরিবারকে কিছু জানিয়েছে কি না, তা নিয়েও সে দিন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বসাক। এই অবস্থায় আগামী সোমবার বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানিতে একজন আইনজীবী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৃতার পরিবার।

এদিকে আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে আজীবন জেল হেফাজতের সাজা দিতে গিয়ে শিয়ালদহ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই অপরাধ বর্বরতা এবং নৃশংসতা প্রমাণ করে। কিন্তু এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলা যায় না। তবে সেক্ষেত্রে অন্য যুক্তি দেয় CBI এবং রাজ্য সরকার। CBI এর যুক্তি, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত না হলে আইনের ভুল ব্যাখ্যা হবে। এবং রাজ্য সরকার বলে, এমন জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে যদি ফাঁসি না–হয়, তা হলে মানুষের আইনের উপর থেকে ভরসা কমে যাবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X