সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ কলকাতাবাসীর জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। হাওড়া, দ্বিতীয় হুগলী সেতুর পর এবার কলকাতার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আজ কথা হচ্ছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড উড়ালপুল (AJC Bose Road Flyover) এবং গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার নিয়ে। খুব শীঘ্রই এই দুটি ফ্লাইওভারকে বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে কেন বন্ধ থাকবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বন্ধ থাকবে এজেসি বোস রোড, গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার!
আসলে দীর্ঘদিন হয়ে গেল এই সেতু দুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়না। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই এগুলির ওপর নিত্য যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সবকিছুকে মাথায় রেখে এবার কলকাতার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের আদ্যোপান্ত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ। এত দিন উড়ালপুলের রাস্তা খারাপ হলে পিচের আস্তরণ চাপিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। তবে এবার এরকম তাপ্পি দেওয়া কাজ দিয়ে আর চালাতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে সেতু দুটির আদ্যোপান্ত সংস্করণের দিকে মনোনিবেশ করতে চাইছেন হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের (HRBC) বিশেষজ্ঞেরা। তবে এখনও এই কাজের দিনক্ষণ আর কবে থেকে বন্ধ থাকবে তা জানানো হয়নি।
খরচ হবে ১০০ কোটি টাকা!
ব্রিজ সংস্কারের কাজ মুখের কথা নয়। এই কাজ শেষ হতে খরচ হতে পারে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। অন্তত কানাঘুষো এমনই শোনা যাচ্ছে। সেতুর মাঝে এবড়োখেবড়ো পিচ, সেতুতে ওঠার মুখেই গর্ত দেখলে আপনিও চমকে যাবেন। আর এসবকেই সঙ্গী করে নিত্যদিন গাড়ি নিয়ে ছুটে চলেছেন মানুষ। তবে এবার সময় এসেছে সংস্কারের।
এইচআরবিসি-র সেক্রেটারি জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘গড়িয়াহাট এবং এজেসি বোস রোড উড়ালপুল— দু’টিই আমরা সম্পূর্ণ ভাবে মেরামত করতে চাইছি। শুধু উপরের প্যাচওয়ার্ক নয়, এ বার পুরো সেতুই সারাই করা হবে। এজেসি বোস রোডের জন্য ৬০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশদ রিপোর্ট প্রশাসনকে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমতি মিললে কাজ শুরু হবে।’’ এছাড়াও জ্যোতিষ্মানের কথায়, ‘‘গড়িয়াহাট উড়ালপুল অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে রয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে সেটি সারাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গড়িয়াহাট উড়ালপুল সংস্কারে আনুমানিক ৩৪ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার কাজও বেশ কয়েক ধাপ এগিয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে।’’
আরও পড়ুনঃ অষ্টম বেতন কমিশনের ToR-এ নেই তারিখ উল্লেখ! উদ্বিগ্ন কর্মীরা
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কাজ হবে সে বিষয়ে। সাধারণত ছোটখাটো সংস্কারের সময়ে রাস্তায় ছ’মিলিমিটার পুরু পিচের আস্তরণ দেওয়া হয়। তা কয়েক মাসের মধ্যে উঠেও যায় বলে মানছেন বিশেষজ্ঞেরা। স্ল্যাবের নীচে বেয়ারিং পাল্টানো হবে। এজেসি বোস রোড উড়ালপুলের অন্যতম প্রধান সমস্যা জল। বৃষ্টি হলে এখানে জল জমে থাকে। পিচের পক্ষে এই জল ক্ষতিকারক। তাই নতুন করে সংস্কারের সময় জল বার করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উন্নত করা হবে নিকাশি ব্যবস্থা।












