Indiahood-nabobarsho

মেধা তালিকা দূর, জলপাইগুড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল ৭ হাজারের বেশি পড়ুয়া! তুঙ্গে বিতর্ক

Published on:

madhyamik pariksha

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল (Madhyamik Result) প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রাজ্যের একের পর এক জেলার ভালো ফলাফল সামনে আসছে, ঠিক তখনই উল্টো ছবি দেখা গেল উত্তরবঙ্গের এক জেলায়। হ্যাঁ, এবছর নাকি রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ফেলের হার দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। পরিসংখ্যান বলছে, এই জেলায় এবার 30.53 শতাংশ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ফেল করেছে, যা গোটা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

জলপাইগুড়িতে ফেলের হার এত কেন?

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলার থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল 23 হাজার ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে মাত্র 22.91 শতাংশ ছাত্র ও 26.04 শতাংশ ছাত্রী নাকি পাশই করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রায় 7 হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কী কারণে এই জেলায় এত অবনতি? জেলার শিক্ষাখাতে কাজ করা অনেকেই বলছেন যে, জলপাইগুড়ি জেলার একাংশ এখনও শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে। চা বাগান সংলগ্ন এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী তো এখনও শিক্ষার আলোটুকু পাননি।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

অভিযোগের আঙুল উঠছে স্কুলের দিকেও

তবে জেলার ডিআই বালিকা গোলে স্পষ্ট জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির স্কুলগুলোকে এখন আরও সচেতন হতে হবে। কেবলমাত্র পরীক্ষায় বসানো নয়, বরং পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশেও নজর দিতে হবে। অন্যদিকে জয়েন্ট কনভেনার মনোজিৎ রায় বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম এবছর জলপাইগুড়ির ফল অনেক ভালো হবে। প্রশ্ন অনেকটাই সহজ হয়েছিল। অনেকটাই আশা ছিল। কিন্তু আশায় জল ঢেলে দিল। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। 

মেধা তালিকায় নাম নেই একটাও

এদিকে সূত্র বলছে, 2023 সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার অন্তত দুই একজন ছাত্র-ছাত্রী মাঝেমধ্যে রাজস্তরের মেধা তালিকায় স্থান পেত। কিন্তু 2024-25 সালে সেই ছবিটা পুরো উল্টে গিয়েছে। প্রথম দশে নেই একটিও নাম। ফলে জেলার শিক্ষার মান নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ মাসে ১০০০ টাকা জমিয়ে ৩.৭৭ কোটি রিটার্ন! মাসিক ১ লাখ পেনশন, বিনিয়োগের সুরক্ষিত ঠিকানা

তবে উপর মহলের লোকজন বলছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এখনই হাল ছাড়া যাবে না। পড়ুয়াদের সাপোর্ট করার দরকার এবং স্কুলের পড়াশোনার মান আরও উন্নত হওয়ার দরকার। পাশাপাশি পরিবারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার ভবিষ্যতে জলপাইগুড়ি জেলার শিক্ষাখাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে কিনা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group