১ কেজি আমের দাম ৩ লাখ! মধ্যমগ্রামের এই বাগান এখন টুরিস্ট স্পট, রয়েছে ব্যাঙ্কের মতো নিরাপত্তা

Published on:

Madhyamgram

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গরমের ছুটিতে মানুষের পাহাড়, সমুদ্র বা কোন ঐতিহাসিক স্থানেই মন টানে। কিন্তু এবার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) একটি আমবাগানে। শুধুই কি আমগাছ? না, আসলে এই গার্ডেনে রয়েছে এমন এক ধরনের আম, যার দাম শুনলে আপনার চক্ষু চড়কগাছে উঠবে। হ্যাঁ, প্রতি কেজি আমের দাম নাকি 2.5 লক্ষ টাকা থেকে 3 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর সে কারণেই এখন মধ্যমগ্রামের এই শিবম গার্ডেন রীতিমতো টুরিস্ট প্লেস হয়ে উঠেছে।

শখের বসে লাগানো গাছ আজ লাখ টাকার সম্পদ

বেশ কিছু সূত্র খতিয়ে জানা গেল, এই বাগানের মালিক বাপি সিনহা রায়। শখের বসে তিনি পরিচিতদের থেকে পাওয়া উপহার হিসেবে একটি জাপানি আমগাছ মিয়াজাকি তার বাগানে রোপন করেছিলেন। তখন হয়তো তিনি ভাবেননি যে, একদিন এই গাছকে নিয়েই হইচই পড়ে যাবে। হ্যাঁ, সেই গাছের প্রতিটি ফল নাকি এখন লাখ টাকার সম্পদ।

আর এত মূল্যবান আম দেখে যে কারও এতে হাত পড়বে না, এমনটা হতেই পারে না। তাই বাগানে এখন 24 ঘন্টা পাহারায় রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী। এমনকি সঙ্গে রয়েছেন বিশেষভাবে নিয়োজিত এক মালী, যিনি গাছগুলোর পরিচর্যা করছেন। পাশাপাশি লাগানো রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

কী এমন রয়েছে এই বিশেষ আমে?

আসলে মিয়াজাকি জাপানের একটি অত্যন্ত দামি ও বিপন্ন প্রজাতির আম। এই আমটি স্বাদে মিষ্টি, দেখতে লাল, রঙে বাহারি এবং আকারে বড়। এমনকি এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। জানা যাচ্ছে, এই আমটি কোলেস্টেরল কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। হ্যাঁ, এমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞরা। মূলত বিদেশ থেকে এই আম উপহার হিসেবে দেওয়া হয় অনেক সময়।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

সুত্রের খবর, এই আম চাষ করতে দরকার হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আদ্রতা এবং পরিশ্রম। তাই বাংলাদেশ বা ভারতের মতো আবহাওয়ায় এই আম গাছ চাষ করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন বাপি সিনহা রায়।

আরও পড়ুনঃ স্বল্প বিনিয়োগে মোটা আয়! এই ব্যবসা শুরু করলে চিন্তা করতে হবে না ভবিষ্যতের

মিয়াজাকি ছাড়াও আরও দুর্লভ গাছ রয়েছে এই গার্ডেনে!

সূত্র খতিয়ে আরও জানা গেল, এই গার্ডেনে শুধুমাত্র মিয়াজাকি আমই নয়। বরং রয়েছে আলফানসো নামের এক প্রজাতির আম, যার বাজারদর 1.5 থেকে 2 হাজার টাকা ডজন। এমনকি রয়েছে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ব্যানানা ম্যাংগো, যা দেখতে লম্বাটে এবং হলুদ রঙের। গন্ধ ও স্বাদেও একেবারে ভরপুর। আর বিশ্ববাজারে চাহিদাও অত্যন্ত বেশি।

আর সে কারণেই বাপি সিনহা রায়ের বাগান এখন শুধুমাত্র শখের বাগান নয়, বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের সখ পূরণের জায়গা। অনেকেই আসছে এই বিশেষ আমের ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে। অনেকেই তো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন তাদের অভিজ্ঞতা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নজরেও পড়েছে এই পর্যটনকেন্দ্রমুখী বাগান।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥