শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ দীর্ঘ ২২ বছরের বকেয়া বেতন পেতে চলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ছিল। আদালতের রায় এল শেখরচন্দ্রর পক্ষে। স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষকতার কাজে প্রবেশ করেছিলেন শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। ১৯৯৪ সালে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুরের মশাগ্রাম শিবানন্দ হাই স্কুলে যোগ যোগ দিয়েছিলেন। তারপর স্কুলের অনুমতি নিয়ে করেন মাস্টার্স। মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর উচ্চতর বেতনের জন্য আবেদন করেছিলেন শেখরচন্দ্র। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ।
দীর্ঘ বকেয়া বেতন পাবেন শিক্ষক?
শেখরচন্দ্র ভুঁইয়ার আইনজীবী এক্রামুল বারি জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করেছিলেন তাঁর মক্কেল শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। স্কুল পরিচালন সমিতির অনুমতি নিয়ে ২০০২ সালে ইতিহাস নিয়ে মাস্টার্স করেন। মাস্টার্স করার পর ২০০৭ সালে উচ্চ বেতনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ।
আবেদন নাকচ হওয়ার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন শেখরচন্দ্র। সিদ্ধান্ত নতুন করে বিবেচনা করার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আবারও তাঁর আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। রাজ্যের যুক্তি ছিল, ২০০৫ সালে নতুন বিদ্যালয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ম চালু হয়েছে। শেখরচন্দ্র আবেদন করেছিলেন তার পরে। তাই তাঁর আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব না।
কী বলছে আদালত?
শেখরচন্দ্র কিংবা তাঁর আইনজীবী হাল ছাড়েননি। ২০১১ সালে আদালতে ফের মামলা। আইনজীবীর যুক্তি ছিল তাঁর মক্কেল মাস্টার্স সম্পন্ন করেছিলেন ২০০২ সালে। তাই উচ্চহারে বেতন তাঁর প্রাপ্য। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট শেখরচন্দ্র ভুঁইয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে। শেখর এখন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২২ বছর পর পাবেন উচ্চতর বেতন।