শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ চৈত্র মাসের গরমে হাঁসফাঁস করছেন বাংলার সাধারণ। সে ছোট হোক বা বড়, সকলেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে গিয়েছেন। এদিকে যে হারে আচমকা গরম বেড়েছে সেখানে বাংলার স্কুলগুলিতে ক্লাসের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। বা প্রক্রিয়া চলছে। এরই মাঝে আরও একটি প্রসঙ্গে রীতিমতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর সেটা হল গরমের ছুটি (Summer Vacation)। এক অংশ বলছে গরমের ছুটি কম দেওয়ার থেকে ভালো সকালের দিকে ক্লাস হোক। তো আবার একাংশ বলছেন গরমের ছুটির দিনক্ষণ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হোক ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের কথা ভেবে। বর্তমানে এই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপড়েন।
গরমের ছুটি নিয়ে দড়ি টানাটানি
আসলে শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, বিগত কয়েক বছরগুলিতে সরকারের তরফে যখন তখন গরমের ছুটি নিয়ে ঘোষণা করে দেয়। এতে করে পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেশ সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয় বৈকি। তবে এবছর খানিকটা যাতে ব্যতিক্রম করা যায় সেই নিয়ে দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা।
অনেকের দাবি, হঠাৎ গরমের ছুটির বদলে দরকারে সকালে স্কুলের ব্যবস্থা করা হোক। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, গ্রীষ্ম প্রধান রাজ্যে কীভাবে মাত্র ১১ দিনের গরমের ছুটি দেয় শিক্ষা দফতর? যাইহোক, এখনও অবধি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটিছাটা নিয়ে কিছু ঘোষণা হয়নি। তবে এই তীব্র গরমে ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাসের টাইম আরও সকালে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।
১১ দিন গরমের ছুটি?
নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী, গরমের ছুটি পড়ার কথা ১২ মে। আর স্কুল খোলার কথা ২৩ মে। অর্থাৎ মাত্র ১১ দিনের গরমের ছুটি দিয়েছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষকদের মতে, ১০ দিনের গরমের ছুটি বাড়িয়ে প্রায় দু’মাস করে দেওয়ায় পড়ুয়াদের সারা বছরের পাঠ্যক্রম শেষ করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই এটা চলছে। নির্ধারিত গরমের ছুটি ১০ দিন বা ১১ দিন। পরিস্থিতির চাপে তা বেড়ে হয় প্রায় দেড় মাস। কেন আগে থেকে পরিকল্পনা করে গরমের ছুটি দেওয়া হয় না? প্রয়োজনে সকালে স্কুল করে দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের তোরজোড় রাজ্য সরকারের
রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ স্কুলগুলিকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার ব্যাহত না করে স্কুলের সময় পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গরমের কারণে প্রাইমারি স্কুলগুলির সময়সূচি বদলের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য বলে খবর। যাইহোক, শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |