সহেলি মিত্র, কলকাতা: গুটি গুটি পায়ে বাংলার দিকে এগোচ্ছে বর্ষা। আর বর্ষা আসা মানেই হল ইলিশ মাছ (Ilish Fish) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাওয়া। শুধুই কি আলোচনা, বর্ষার মরসুম এলেই ইলিশ মাছ কেনার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায় মাছপ্রেমীদের মধ্যে। এছাড়াও পাতে যদি পদ্মাপারের ইলিশ পড়ে তাহলে তো কথাই নেই। তবে এবছর মাছপ্রেমী বাঙালির পাতে ইলিশ মাছ কতটা পড়বে সেই নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপনিও যদি ইলিশপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
ইলিশের আকাল দেখার সম্ভাবনা!
বিগত বেশ কিছু বছরে বাংলায় ইলিশ মাছের যোগান বেশ খানিকটা কম হয়েছে। ফলে এবছর অনেকেই মনে করছেন, ফের একবার বিপুল পরিমাণে ইলিশ দেখতে পাওয়ার সুযোগ মিলবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশি ইলিশের কতটা ছেড়েই দেওয়া যাক, এদেশীয় ইলিশ মাছ পাওয়ার ভাগ্য বাঙালির হবে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কী বলছেন মৎস্যজীবীরা?
কেন এ বছর মাছের যোগান বেশি হবে না? এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক বছরে যে হারে ইলিশ মাছ কমছে, তাতে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে ট্রলার মালিকদের। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ট্রলার মেরামত করে সমুদ্রে গিয়ে মাছ মেলেনি। সেক্ষেত্রে সবাইকে নামিয়ে লোকসান করার দরকার নেই। যদি ইলিশ মাছই না মেলে, তাহলে গিয়ে কী লাভ? তাই এই বছর মালিকরা আর ঝুঁকি নিতে নারাজ।’
আরও পড়ুনঃ সাঁতরাগাছিতে সিগনাল বিভ্রাট, বাতিল একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন! হাওড়ায় নামল র্যাফ
আসলে সমুদ্রে এবার নামবে মাত্র ৫০ শতাংশ ট্রলার। বাকিরা তখন পড়ে থাকবে উপকূলে। সেক্ষেত্রে ইলিশ মাছও উঠবে কম। এদিকে যে পরিমাণ মাছ উঠবে সেটার দামও বেশ চড়া হবে। ফলে এ বছর ইলিশ মাছ কেনা বাঙালির সাধ্যের বাইরে হতে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও আগামী দিনে পরিস্থিতির বদল হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।