প্রীতি পোদ্দার, বারাসাত: শুরু থেকে এখনও বিক্ষোভের রোষে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। আগস্টের গোড়ায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার খবর আসতে শুরু করেছিল। চারিদিকে মন্দির, প্রতিমা ভাঙার পাশাপাশি গুঁড়িয়ে ও জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল হিন্দুদের বাড়ি, ঘর। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। তার উপর সনাতনী সন্ন্যাসী গ্রেফতারের পর সেই পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ হয়েছে বলে খবর আসতে শুরু করেছে।
জাতীয় পতাকার অবমাননা করায় ক্ষুব্ধ ভারতবাসী
কিছুদিন আগে সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে নীচে পড়ে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। আর তার উপর দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা হেঁটে যাচ্ছে। সেই ভিডিয়ো পোস্ট হতেই তাকে ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেশের কোণায় কোণায় এই নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। অনেক চিকিৎসক বাংলাদেশী রোগী দেখা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এবার বাংলাদেশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেফতার তিন যুবক
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার বারাসত স্টেশনে বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তার উপর দাঁড়িয়ে কয়েক জন প্রতিবাদ করছিলেন। খবর পাওয়া মাত্রই বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা সকলেই বজরং দলের সদস্য। তাঁদের নাম আর্য দাস, সুবীর দাস এবং রিপন চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দলের লোক বলে স্বীকার করেছেন সংগঠনের নেতা বাপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ভারতের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদেই আমরা ওই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। যদি পুলিশ আমাদের দলের তিন জনকে না ছা়ড়ে, তা হলে তাঁরা বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।”
এদিকে কিছুদিন আগে কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রতিকৃতি পোড়ানো হয়েছে বলে এমন অভিযোগ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। এমনকি সেই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে ভারত সরকারের কাছে ভারতে অবস্থিত তাদের সমস্ত দূতাবাস এবং সেখানকার কর্মীদের নিরাপত্তা দাবি করেছে।