রহস্যে মোড়া উত্তরবঙ্গের এই মহাকাল মন্দির, এখানে গেলেই ৩০ মিনিট এগিয়ে যায় সময়

Published on:

Jalpaiguri

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রতি বছর পরিবেশপ্রেমী পর্যটকেরা বন্য প্রাণীর দর্শন পেতে এবং সবুজের ছোঁয়া পেতে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যানে এসে ভিড় জমান। তবে শুধু পশুপাখির দর্শন নয়, এখানকার জনপ্রিয় মহাকাল ধামের জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান। জানা গিয়েছে এই মহাকাল ধামটি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে। সেই মন্দিরে নিয়মিত পুজো দিতে যান ভক্তেরা। কিন্তু জানেন কি এই মন্দিরকে ঘিরে এক অজানা রহস্য রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এই মন্দিরেই সময়ের তারতম্য ঘটে!

বরাবরই বেশ জাগ্রত জলপাইগুড়ির এই মহাকালধাম। দুর্গম পাহাড়, বনজঙ্গল পেরিয়ে হাজার হাজার শিবভক্ত সমবেত হয়ে থাকেন ভগবান মহাকালের দর্শনের আশায়। স্থানীয়দের কোথায় মন থেকে যদি কেউ এখানে মানদ করে থাকে তাহলে সেই মনবাসনা পূর্ণ করে থাকে মহাকাল। তবে ভগবান দর্শন ছাড়াও এই মন্দিরে আরও এক উল্লেখযোগ্য এবং চমকপ্রদক বিষয় রয়েছে। আর সেটি হল সময়ের তারতম্য৷ জানা গিয়েছে এখানে এলেই নাকি সময়ের ফারাক থাকে প্রায় আধ ঘণ্টার। কিন্তু এই জায়গাটি ছেড়ে কয়েকশো মিটার দূরে চলে গেলেই আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যায়। এই কাণ্ড দেখে অবাক পর্যটকরা ৷

অনেকের কাছেই অজানা এই রহস্য

দীর্ঘ সময় ধরে মন্দিরের এক অজানা কাহিনী লোকমুখে শুনে আসেন পর্যটকেরা। কিন্তু এর পিছনে আসল রহস্য ঠিক কী তা অনেকেরই জানা নেই। সময়ের এই তারতম্য প্রসঙ্গে শঙ্কলিতা রায় কর্মকার নামে এক পর্যটক জানিয়েছেন যে, “আমার হাতের ঘড়ির সঙ্গে মোবাইলের সময়ের ব্যবধান এখানে আধ ঘণ্টা। আমাদের বাড়ি থেকে বাংলাদেশ এক কিলোমিটার দূরে ৷ কিন্তু সেখানেও কোনওদিন সময়ের ব্যবধান দেখিনি৷ মহাকাল ধামে এসেই আমরা এমনটা দেখছি।” এমনকি এই রহস্যের কারণ ও উদঘাটন করতে পারেনি সেখানকার স্থানীয়রা।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে উধাও ৪ কোটি টাকার ত্রাণের চাল! CBI তদন্ত চাইছে এলাকাবাসী

অবশেষে প্রকাশ্যে এল আসল সত্যি

জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক দ্বিজ প্রতিম সেনও স্বীকার করেছেন যে মহাকাল ধামের সামনে সময়ের একটা ব্যবধান হয়ে যায়। অবশেষে সেই বৈজ্ঞানিক মাধ্যমে সেই রহস্য উদঘাটিত হল। জানা গিয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মহাকাল ধামের কাছে ইউরেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান দুটি প্লেটের সঙ্গমস্থল রয়েছে। সেখানে ম্যাগনেটিক ওয়েভ বা মাইক্রোওয়েভ কাজ করে। আর সেই ওয়েভের কারণেই ওই নির্দিষ্ট স্থানে ভুটানের সময়টা ধরে নেয়। যার জন্য এখানে আধ ঘণ্টা সময় এগিয়ে যায়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group