শ্বেতা মিত্রঃ ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলার বহু জেলা। জলের তলায় চলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট। এদিকে সর্বস্ব খুইয়ে মাথায় হাত পড়েছে সকলের। আগামী দিনে কী করবেন, এই চিন্তা সকলকে রীতিমতো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন করে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বাংলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে বাংলার একের পর এক জেলা। এসবের মাঝেই এবার শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বন্যার জেরে সাধারণ মানুষকে কম্বল বিলি করার জন্য চরম কটাক্ষের শিকার হতে হল নেতাকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বন্যার ত্রাণ হিসেবে কম্বল বিলি বিধায়কের!
ইতিমধ্যে বন্যার কবলে পড়া বিভিন্ন জেলার মানুষকে প্রশাসনের প্রাণ দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। ত্রিপল থেকে শুরু করে শুকনো খাবার সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। তবে বন্যার সময় কম্বলকে বিলি করে তা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। হ্যাঁ বাবু বন্যার কবলে বেশ কিছু জেলা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো হুগলি জেলাও। এদিকে এই বন্যা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে চরম কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হল তাকে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার বলাগড় বিপন্ন। জলের তলায় বহু গ্রাম। কাল রবিবার কিছু জনকে ত্রিপল কম্বল বস্ত্র দিয়ে দেখি কতটা কী সাহায্য করতে পারি। কাল সোমরা ঘোষ পুকুরে আমি থাকছি বিকেল চারটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। আসুন আপনারা -!’ ব্যস এরপরেই কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায় বিধায়কের কমেন্ট বক্সে।
ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা
একজন লিখেছেন, ‘যতটা পারেন সাহায্য করুন। কম্বলটাও কাজে লাগবে।নিচে পেতে এবং আসন্ন শীতে গায়ে দিতে। ঘর পড়ে যাওয়া মানুষদের তালিকা তৈরি করে ঘরের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাই। আরেকজন লিখেছেন ‘ সত্যিই আপনি খুব সহজসরল মানুষ। নাহলে বন্যা ত্রাণে কেউ কম্বল দেয়?’
ভালো থাকুন লেখোয়াড়-দাদা।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘দান বলে কথা, সবার অ্যাকাউন্ট-এ ২০০ টাকা পাঠাবেন আর মানুষেরা সেটা তুলে নেবে। সেটা বলেনি ভাগ্য ভালো। উদ্ধারের পথ নেই, মানুষরা জলেই থাক। দান পৌঁছানো চাই, সুপ্রিমোর নির্দেশ।’
এদিকে নেটিজেনদের মাথামোটা বলে কটাক্ষ করেন বিধায়ক। পাল্টা কমেন্টে বিধায়ক লেখেন, ‘মাথামোটা, কদিন পরেই শীত আসছে।’