আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। প্রথম দফা ভোটের দুদিন আগে ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। আজ বুধবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, ‘দেশে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের বিনামূল্যে ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে। দেশজুড়ে ১০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেককে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। প্রতি মাসে প্রত্যেক রেশনকার্ড হোল্ডারকে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে রেশন দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে ফসলের ন্যুনতম মূল্য দেওয়া হবে। সমস্ত ফসলের উৎপাদনের গড় খরচের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি ধার্য করা হবে। বার্ধক্য ভাতা বৃদ্ধি করে বছরে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কৃষকদের আইনগত গ্যারেন্টি দেওয়া হবে। এনআরসি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি করতে দেওয়া হবে না। ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্নাতকদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে। ২৫ বছর পর্যন্ত সকল স্নাতক এবং ডিপ্লোমা হোল্ডারদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এক বছরে শিক্ষানবীশ প্রতিশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক দৃঢ়তা দেওয়ার জন্য মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রত্যেক বিপিএল পরিবারকে বিনামূল্যে বছরে ১০টি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে।’
এদিন তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়, ‘জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দাম ওঠা-নামা করার জন্য ‘প্রাইস স্টেবিলাইজেশন ফান্ড’ তৈরি করা হবে।’ এমনিতে পেট্রোল ও ডিজেলের উর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ রীতিমতো ওষ্ঠাগত। এহেন অবস্থায় তৃণমূলের এই প্রতিশ্রুতিকে বড় বিষয় হিসেবেই দেখছে বিশিষ্ট মহল। আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও কটাক্ষ করে তৃণমূল। আজ অমিত মিত্র জানান, ‘আয়ুষ্মান ভারতের বদলে উন্নততর স্বাস্থ্যসাথী বিমা প্রদান করা হবে।’