প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার হেলমেট না পরলেই হাজির হবে যমদূত! কোনো অজুহাত না শুনেই নাকি সটান নিয়ে যাবে যমালয়ে! এমন কাণ্ড দেখে হতভম্ব দুর্গাপুরবাসী (Durgapur)। রাস্তাঘাটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ কার্যকর থাকলেও সেই নির্দেশ কার্যত তোয়াক্কা করে না অনেকেই। এমনকি বাইক আরোহীরাও পরতে চায় না হেলমেট, যার জেরে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনার খবর। আর তাই এবার সেই সমস্যা নির্মূল করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করল প্রশাসন।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার, দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় হঠাৎ এক বাইক চালককে পাকড়াও করে যমরাজ। মাথায় হেলমেট না পড়ায় মূলত হৈ হৈ করে সামনে এগিয়ে আসেন যমরাজ। এমনকি হুঁশিয়ারি দিলেন যদি হেলমেট না পড়েন তাহলে সটান যমালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এমতাবস্থায় হেলমেটহীন বাইক চালকের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা! হুলস্থুল কাণ্ড রাস্তা জুড়ে। আসলে এই গোটা প্রক্রিয়াটাই পূর্ব পরিকল্পিত। জানা গিয়েছে গতকাল ট্রাফিক পুলিশ ট্রাফিক সচেতনতা নিয়ে এক নয়া পন্থা অবলম্বন করেছিল, আর সেই কর্মসূচিতেই যম রাজের খপ্পরে পড়ে বাইক চালক।
বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা!
পথদুর্ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। কোন রাস্তায় কত গতিতে গাড়ি চলতে পারবে তা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন চালু করা হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। কিন্তু ফলাফল যে খুব একটা মিলছে তা নয়। দিনের পর দিন খবরের পাতা খুললেই উঠে আসছে সড়ক দুর্ঘটনার খবর। স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক প্রচার, ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিতকরণ এবং নিয়মিত রোড সেফটি কমিটির বৈঠকের মত একাধিক কর্মসূচি করলেও সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি নির্মূল করা যাচ্ছে না। তার ওপর বারংবার বাইক চালকদের হেলমেট পড়তে বললেও তারা সেই নিয়ম মানতে চায় না। তাই এবার নয়া পন্থা অবলম্বন করল দুর্গাপুর ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনে একসপ্তাহের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার দেশরাজ! দারুণ সাফল্য রাজ্য পুলিশের
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র যে নিয়ম মানা হচ্ছে না তা নয়, তার সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে বেহাল রাস্তা দশা। গোটা রাস্তায় অসংখ্য ছোট, বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এর ফলে সেখানে গাড়ি চালানো কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথ চলতি মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিন দিন দুর্ঘটনা এই কারণেই বেশি বাড়ছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে গর্ত চোখে না পড়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হচ্ছে। রাস্তা খারাপ থাকার জন্য বাইক ও সাইকেল নিয়ে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই এবার বেশিরভাগ রাস্তা পুনরায় ঠিক করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |