শ্বেতা মিত্র, বাঁকুড়াঃ টোটো (Electric rickshaw)…বর্তমান সময়ে সকলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। শহর হোক কিংবা শহরতলি, কিংবা হোক গ্রাম, একের পর এক টোটো ছুটে চলেছে। এই টোটো তে একদিকে বসা যেমন আরামদায়ক তেমনি এর ভাড়াও অনেকটাই কম। এক কথায় বর্তমান সময়ের বহু মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই টোটো ব্যবস্থা। তবে এই টোটো নিয়েই হামেশাই নানান অভিযোগ উঠছে দেখা যায় কিংবা শোনা যায়। অনেক সময় এ অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে রাস্তা দখল করে ছুটে চলেছে এই টোটো তবে। এবার সবকিছু বিচার বিবেচনা করে প্রশাসনের তরফের টোটো ব্যবস্থা নিয়ে বড় রকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আপনিও যদি টোটো চালক হয়ে থাকেন কিংবা টোটোতে করে রোজ যাতায়াত করে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
টোটো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে টোটো নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এবার টোটোগুলির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হল। শুধু তাই নয়, কোনোরকম কারচুপি বা দৌরাত্ম রুখতে টোটো চালকদেরও লাইসেন্স আলাদা করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদি প্রশাসনের নির্দেশকে উপেক্ষা করে তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে চালকদের। যারা নির্দেশ মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
জেলা জুড়ে বেড়ে চলেছে টোটোর দৌরাত্ম
অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলায় টোটোর দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর যা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। শুধু তাই নয়, সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে অনেক নাবালকও এই টোটো চালাচ্ছে। যে কারণে দুর্ঘটনা মাত্রাও হু হু করে বেড়ে চলেছে। ফলে সবকিছুর ওপর রাশ টানতে বড় সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে রাজ্য প্রশাসন।
সব টোটোগুলির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এবং চালকদের আলাদা করে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, “টোটোর রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্স করানোর জন্য সদ্য দফতরের নির্দেশিকা এসেছে। আমরা কাজ শুরুর পরিকল্পনা নিচ্ছি। টোটোর নির্দিষ্ট রুটও তৈরি করা হবে।” ছাড়পত্র দেওয়ার আগে চালকদের কমবেশি দিন দশেক ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হবে। এদিকে বাঁকুড়া শহরে টোটো চালাতে পুরসভার ছাড়পত্র পেতে প্রায় ১৩০০টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান বাঁকুড়ার উপপুরপ্রধান হিরালাল চট্টরাজ। কিন্তু সব মিলিয়ে ২,০০০ টোটো শহরের পথে নামলে যানজট সমস্যার সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়বে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।