শ্বেতা মিত্রঃ সামনে রয়েছে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজোর সময়ে ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি কোথাও ঘুরতে যাবে না তা তো হতেই পারে না। বিশেষ করে অক্টোবর সময়টায় পাহাড়ের আবহাওয়া একপ্রকার মনোরম থাকে ফলে পুজোর ছুটি হাতে থাকতে থাকতেই মানুষের সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে এই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবর মাসে কি আপনিও দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
দার্জিলিং মানেই হলো সুদৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা, টাইগার হিল এবং সব থেকে বড় আকর্ষণ টয় ট্রেন। ফলে দার্জিলিং গেলেন অথচ টয় ট্রেনে উঠলেন না সেটা তো হতেই পারে না। তবে এবারে এই টয় ট্রেন নিয়েই এল মন খারাপ করা খবর।
টয় ট্রেন নিয়ে বড় খবর
সেপ্টেম্বর শেষ হতে আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এহেন অবস্থায়ে আপনিও যদি সেখানে গিয়ে টয় ট্রেনে ওঠার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দুঃখের খবর। এখন আপাতত বন্ধ রয়েছে এই টয়ট্রেন পরিষেবা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বর্তমানে কখন কোথায় ধস নেমে যাচ্ছে কেউ বলতে পারছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে কয়েকদিন আগেই। যার যার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টয় ট্রেনের রেল লাইন ও। এহেন পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বর মাসে টানা টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লাগাতার ধস নামছে পাহাড়ে
সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাপকভাবে পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি–সিকিমের মূল লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর আবার এই আবহে পিছল টয়ট্রেন পরিষেবা চালুর উদ্যোগ। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এনজেপি–দার্জিলিং ট্র্যাকে শুরু হওয়ার কথা ছিল টয়ট্রেনের। এবার সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আরও ১০ দিন পিছিয়ে গেল।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কবে থেকে স্বাভাবিক হবে এই টয়ট্রেন পরিষেবা? এই বিষয়ে বড় তথ্য দিয়েছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু কুমার। তিনি জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ফের একবার শুরু করা যেতে পারে পরিষেবা। তবে যদি লাগাতার এভাবে ধস নামতে থাকে তাহলে কতটা কী সম্ভব হবে তা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এদিকে দার্জিলিঙে ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম আকর্ষণ এই টয়ট্রেন যদি চালুই না হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে একটু পর্যটকদের মন খারাপ হবে। এদিকে দুর্গাপুজোর অবহে এই টয়ট্রেন পরিষেবা যদি শুরু না করা যায় তাহলে পর্যটন ব্যবসা অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভয় ধরাচ্ছে নদীর ভাঙন
জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর ভাঙনে সিকিম ও কালিম্পং যাতায়াতের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। পূর্ত দফতর রাস্তা ঠিক করার কাজ করছে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, এখন সেভাবে বৃষ্টির বাড়বাড়ন্ত নেই। নদীর জলস্তরও কম। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে শ্বেতীঝোরা এলাকাটি। তাই সেখানে রাতে রাস্তার কাজ করা যাচ্ছে না।