বাঁকুড়ার সাথে রেলপথে জুড়ে যাবে দুর্গাপুর, রাণীগঞ্জ! শীঘ্রই শুরু হচ্ছে সার্ভের কাজ

Published on:

new rail track

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে হাজার হাজার মানুষের। এবার বাংলার এমন এক রেল প্রকল্পের বিষয়ে আপডেট সামনে উঠে এল যেটি চালু হওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করছেন মানুষ। এদিকে এই রেল প্রকল্পের আওতায় একবার ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে গেলে সকলের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই আপডেট হল বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়া থেকে রানীগঞ্জ রেল নেটওয়ার্কে। আসলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই লাইনগুলিতে সার্ভের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সবটাই হয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর উদ্যোগে। এদিকে রেল ও সাংসদের উদ্যোগের ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে।

বাঁকুড়াবাসীর জন্য দারুণ সুখবর

WhatsApp Community Join Now

আসলে সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি তীব্র গতিতে ভাইরা হচ্ছে। সেটি রেলেরই বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিটা অনুযায়ী, বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া রেলপথে সার্ভের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রেলপথ দুটি সংযোগ হলেই বাঁকুড়া সাথে রেলপথে যুক্ত হয়ে যাবে দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জ, মানুষের সময় তো বাঁচবেই সাথে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাঁকুড়ার কৃষক থেকে ব্যবসায়ীরা।

শুধু এটাই নয়, এর আগে মশাগ্রাম রেল যোগাযোগ ও বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল যোগাযোগ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ। সকলেই আশাবাদী খুব শীঘ্রই এই দুই নতুন রেলপথ পেতে চলেছেন বাঁকুড়ার জনগণ। আশা করা যাচ্ছে, আগামী কিছু সময়ের মধ্যে বাঁকুড়া থেকে রানীগঞ্জ, দুর্গাপুর, বেলিয়াতোড় অংশে ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু কবে সে নিয়ে এখনো অবধি কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিনের দাবি কী মিটবে?

সম্প্রতি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। রানিগঞ্জের বণিক সভা, বাঁকুড়া মৈত্রী সংঘ সহ একাধিক সংগঠন ও বিভিন্ন মহল থেকে এই দাবি করা হয়েছে।  দাবি, রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়ার মেজিয়া পর্যন্ত রেললাইন তৈরি হয়ে আছে। সেই লাইন দিয়ে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়মিত  কয়লার মালগাড়ি যাতায়াত করে। বর্তমানে রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া শহরে পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বাস চলাচল করে। কিন্তু সেইসব বাস দিনভর প্রয়োজন মতো মেলেনা। ফলে বহু মানুষকে দুর্গাপুর হয়ে বাসে বা আসানসোল থেকে ট্রেনে বাঁকুড়ায় যেতে হয়। এহেন অবস্থায় ট্রেন পরিষেবা দ্রুত যাতে শুরু করা যায় সেই দাবি তোলা হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X