পাহাড়ে আর থাকবে না সরকারি জমি! সব চলে যাচ্ছে GTA-র দখলে? খেলা শুরু পাহাড়ে

Published on:

darjeeling gta

কলকাতাঃ নতুন করে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরী হয়েছে সকলের প্ৰিয় উত্তরবঙ্গে। মূলত জমি নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে GTA এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই পরিস্থিতি যদি সামাল দেওয়া না যায় তাহলে আগামী দিনে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলে প্রকাশ করেছেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জমির স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে পাহাড়ে ঝামেলা তৈরি হলে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের দায় নিতে হবে।

জমি নিয়ে বিতর্ক শুরু

WhatsApp Community Join Now

পাহাড়ের জমি কার? GTA না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের? এই নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে পাহাড়ি অঞ্চলে। মূলত সমস্যা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাণবিন্দু দার্জিলিং এবং কালিম্পং শহরে। মূলত পাহাড়ে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছেন সকল মানুষ। এবার নাকি দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে ‘রাজ্য সরকারের জমি’ লেখা সব বোর্ড খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরিবর্তে সেখানে বোর্ড ঝুলবে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্টেশন’ বা জিটি-এর ।  এই ঘটনায় নাকি বেজায় চটেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে এই প্রথার নিন্দা করেছেন আধিকারিক ও নাগরিক সংস্থাগুলিকে এই জাতীয় জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সরকারী জমি দখলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সেই অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি প্লটে ‘জমি’ বোর্ড লাগিয়েছেন আধিকারিকরা। তবে পাহাড়ে যেসব প্লটে বোর্ড তৈরি হয়েছে, তা সরকার পুনর্দখল করেনি। এক ভিডিও বিবৃতিতে অনীত থাপা বলেন, “দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় জিটিএ রয়েছে এবং আমি দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের বলব জিটিএ-র সঙ্গে পরামর্শ করতে।” থাপা বলেন, গত ১০-১৫ দিন ধরে তিনি লক্ষ্য করেছেন যে পার্বত্য জেলাগুলিতে বোর্ড তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “এই ইস্যুর কারণে যদি পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হয়, তাহলে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের জেলাশাসকদের দায় নিতে হবে। দার্জিলিং পাহাড়ে জমি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু যেখানে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি রাজনীতিকে পরিচালিত করে। পাহাড়ের জটিল বিষয়গুলির প্রতি প্রশাসনের সংবেদনশীল হওয়া উচিত।জেলাশাসকরা শুধু তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নির্দেশ পালন করছেন। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

বড় কিছুর আশঙ্কা করছেন অনীত থাপা?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অনীত থাপা জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। বলেন, ‘তবে আমাদের জনগণের ইস্যু তুলে ধরতে হবে। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’ জানা যাচ্ছে, আজ সোমবার থেকে শিলিগুড়ির একটি সংস্থা থেকে তৈরি জিটিএ-র নামে লেখা নতুন সরকারি বোর্ডের একাংশ পাহাড়ের বহু জায়গায় পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াঙের বিভিন্ন এলাকায় ঝুলবে জিটিএ-র বোর্ড।

সঙ্গে থাকুন ➥
X