শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার হাজার হাজার যুবক-যুবতীর জন্য রইল দুর্দান্ত খবর। যারা স্নাতক পাশ করেও একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের জন্য রইল একদম মন ভালো করে দেওয়া খবর। আসলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার দরুণ কপাল খুলে যাবে পড়ুয়াদের। এখন নিশ্চয়ই জানতে আগ্রহী যে কী হয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কিছু সময়ের মধ্যে বাংলায় নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হতে চলেছে।
বাংলায় তৈরী হবে দুটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
আসলে হুগলির ধনিয়াখালিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্ববিদ্যালয় নামে দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিল অনুমোদন করেছে বিধানসভা। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে বাংলায় ৪৪টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। রাজ্যে এখন ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে কালীপদ সাহা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন।
এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য সরকার প্রস্তাবগুলি অনুমোদন করার পরেই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলগুলি পেশ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “২০১১ সালের আগে রাজ্যে মাত্র ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এবং সবগুলিই রাজ্য পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর গত ১৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪টিতে, যার মধ্যে অনেকগুলিই রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক।”
বিল পাশ বিধানসভায়
দুটি বিলে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ, বৃত্তি পাওয়া আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ এবং বাংলার বাসিন্দাদের জন্য ৫০ শতাংশ অশিক্ষক পদ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।নিয়মিত কারিকুলাম ছাড়াও উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই ভোকেশনাল কোর্স, হসপিটালিটি, ফ্যাশন টেকনোলজি, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এমসিএ, বিসিএ এবং বিবিএ’র মতো বিশেষায়িত বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।
রাজ্য সরকার গত বছরের জুনে প্রকাশিত শিক্ষানীতিতে জানিয়েছিল যে রাজ্য উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগকে উত্সাহিত করতে একটি নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই নীতিতে বলা হয়েছে, “কিছু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কর্মসূচি প্রচারের জন্য সহযোগিতা শুরু করেছে।”