প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বরাদ্দ ২৫ শতাংশ DA দিল না রাজ্য সরকার। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়া যে সম্ভব নয়, তা কার্যত আদালতে জানিয়ে দিল রাজ্য। এদিকে রাজ্যের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠন। আর এই আবহে এবার মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত আসল তথ্য চেয়ে অর্থ দপ্তরে RTI দাখিল করল ইউনিটি ফোরাম।
RTI এর আবেদন ইউনিটি ফোরামের
সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের বাসিন্দা তথা বাঁকুড়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা ইউনিটি ফোরামের সম্পাদক পলাশ দত্ত মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) আসল খরচের হিসেব জানার জন্য RTI করেন। তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে তাঁর আবেদন করা চিঠিতে মূলত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছেন।
জানা গিয়েছে অর্থ দপ্তরের চলতি বছরের ৪ মার্চ মেমোর্যান্ডাম নং ১১৩৫-এফ (পি২)-এর ভিত্তিতে এই প্রশ্নগুলি করা হয়েছে। যেখানে সরকারি কর্মীদের DA নির্ধারণের ভিত্তি থেকে শুরু করে বার্ষিক মোট খরচ নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়েছে।
কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে?
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, RTI-এর এই আবেদন পত্রে পলাশ দত্ত জানতে চেয়েছেন যে, প্রতিটি সরকারী বিভাগের জন্য মহার্ঘ ভাতা দিতে সরকারের ঠিক কত টাকা খরচ হচ্ছে? ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মহার্ঘ ভাতা বাবদ রাজ্য সরকারের মোট আনুমানিক কত টাকা খরচ হবে? সরকারের এই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ফলে মোট কতজন উপকৃত হচ্ছেন?
এছাড়াও মোট কতজন কর্মী বা পেনশনভোগী এই বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার আওতায় এসেছেন? এবং কীসের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার এই মহার্ঘ ভাতার হার নির্ধারণ করেছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে অর্থ দপ্তরের কাছে।
আরও পড়ুন: কাঙাল পাকিস্তানকে বিরাট ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচিয়ে আনল চিন!
উল্লেখ্য ইউনিটি ফোরামের তরফ থেকে এই পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উত্তর জানার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে অর্থ দপ্তরকে। তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই আবেদনটির উত্তর দিতে হবে সংগঠনকে। আর সেই কারণে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা তাকিয়ে আছে এই রিপোর্টের দিকে। কারণ এই তথ্য একদিকে যেমন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরবে ঠিক তেমনই কর্মচারীদের DA নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব মিলবে।
৬ মাস সময় চেয়েছে রাজ্য
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আরও ছ’মাস সময় চাইতে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে রাজ্যের কোষাগারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে এই অজুহাতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সরকারী কর্মীরা। এবার দেখার পালা DA সংক্রান্ত এই প্রশ্নগুলির উত্তরে কর্মীরা কী জবাব দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |