প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কংসাবতীর ক্যানেলের জলে এবার ‘অকাল বন্যা’ দেখা গেল বাঁকুড়ায় (Bankura)! জলের স্রোতে পাড় ভেঙে ভয়াবহ বিপত্তি গ্রামে। সরকারি গাফিলতির কারণে এলাকায় প্রবল জলের স্রোতে কয়েক বিঘা জমির ফসলও নষ্টের মুখে। একমাত্র যাতায়াতের মাটির রাস্তাও ভেঙে তছনছ। পার ভেঙে জলমগ্ন গোটা এলাকা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কবলে পড়ল প্রশাসন।
অকাল বন্যা বাঁকুড়ায়!
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে বাঁকুড়া রায়পুরে কংসাবতীর সেচ ক্যানেল ভেঙে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জাতাডুমুর জলাধারের মূল ক্যানেলের কারাধরা এলাকায় সেচ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকছে গোটা এলাকায়। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে রায়পুর গ্রাম ব্লকের শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন। ঘুম থেকে উঠেই হতচকিত হয়ে পড়েন গ্রামের মানুষ। বাড়িতে জল ঢুকে যায়। এই অবস্থায় যে যেমন পেরেছেন জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় একটি ক্লাবের তরফে দুর্গতদের একটি স্কুলে নিয়ে গিয়ে আপাতত থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শেষ আপডেট অনুযায়ী ৩৯ টি কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী
ঘটনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সকালেই এলাকায় পৌঁছেছে রায়পুর ব্লকের বিডিও, এপিও, দুই পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র, শুধু তাই নয় দুর্গতদের জন্য কোনও খাবার এবং থাকার ব্যবস্থাও করা হয়নি এখনো পর্যন্ত। এদিকে প্রশাসনের কাজকর্মের প্রতি ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ বছরের পর বছর বাঁকুড়ার কংসাবতী নদীতে সেচ নির্মাণের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও উপযুক্ত কাঠামো তৈরি করতে অপারগ প্রশাসন। যার ফলে প্রতিবছর এইরূপ দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয় গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া যাবে না ভাতা! চাকরিহারা গ্রুপ সি, ডি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট
বাঁকুড়া রায়পুরে কংসাবতীর সেচ ক্যানেল ভেঙে যাওয়া নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং ক্যানেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামের কৃষকবৃন্দ। তাঁদের দাবি, প্রতি বছর যে হারে ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জেরে খুবই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে সকলকে। আজ যে হারে জল গোটা কৃষি জমিকে গিলে খেয়েছে তাতে মাথায় পড়েছে কৃষকদের। তাঁদের দাবি প্রশাসনের উচিত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।