প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: জনগণের স্বার্থে এবং জনগণের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প নির্মাণে বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের এই প্রকল্পগুলিও রাজ্য বাসীর কাছে বেশ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তুরুপের তাস হিসেবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিল সরকার। যেটি কিনা সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফলের পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় এই প্রকল্পগুলি রাজ্যবাসীর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও বেশ উপযোগী হয়ে উঠেছে। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকার খোদ রাজ্যের এই প্রকল্পগুলিকে সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
গৃহস্থের ভোগব্যয় বৃদ্ধিতে এগিয়ে বাংলা!
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার হাউজহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে করেছিল প্রত্যেকটি রাজ্যে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছিল সেই সমীক্ষায়। অবশেষে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। আর তাতেই বাংলার জয়জয়কার। গৃহস্থের ভোগব্যয় সম্পর্কিত সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বাংলার গ্রামীণ পরিবারের চাল, ডাল কেনার বাইরে ভোগব্যয় দেশের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বিভিন্ন প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তাদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়ায় গ্রামীণ পরিবারগুলির ক্রয়ক্ষমতা ক্রমেই বাড়ছে।
উন্নয়নের পিছনে রাজ্যের জনহিতকর প্রকল্পগুলি
রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে গোটা দেশে ভোগব্যয় বৃদ্ধির হার হয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেই নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৩৯ শতাংশে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি এই ভোগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেক সাধারণ মানুষের জীবনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। তাইতো গ্রামীণ পরিবারগুলির খাদ্যশস্যের বাইরে অন্যান্য পণ্য কেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে গ্রামীণ ভারতের ভোগ্যপণ্য ক্রয় বাড়তে শুরু করেছে। এবং সেক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডারের অবদান অনেকটাই বেশি।
তাইতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুপ্রেরণায় তৈরি লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী কে অনুকরণ করে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই ধরনের প্রকল্প নিয়ে আসছে। লাডলি বহিনা যোজনা, মাহাতারি বন্ধন, লাডলি লক্ষ্মী, মাইয়া সম্মান যোজনা নামে মহিলাদের অনুদান প্রদানের প্রকল্প আনা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি সকলেই মমতার দেখানো পথেই হাঁটছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত খরচ করতে সক্ষম হচ্ছেন, সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢুকে যাওয়ায় বাড়ছে টাকার জোগানও। বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্য-চাহিদা।