প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের ডিএ মামলা (WB DA Case) নিয়ে বারবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে রাজ্যবাসী। বারংবার এই মামলার শুনানির দিন ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি একাধিকবার বেঞ্চ বদল করেছে। যার দরুন মামলাকারি সরকারী কর্মীদের আইনি ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস এবং আশা ক্রমেই কমতে থাকছে। আর এই আবহে ফের পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার এজলাস বদল হল, নতুন বেঞ্চে উঠল সেই মামলার শুনানি।
সময়ের অভাবে হয়ে ওঠেনি পূর্ণাঙ্গ শুনানি!
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে প্রথম মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই মামলার রায়ে ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট রাজ্যকে ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। প্রথম শুনানি হয় সে বছরের ২৮ নভেম্বর। এরপর গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির আর পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়ে ওঠেনি।
কতবার পিছিয়েছে এই DA মামলা?
তার মধ্যে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধ মেনে শুনানি কয়েক বার পিছিয়ে যায়। এইভাবে আড়াই বছর ধরে প্রায় ১৭ বার মামলাটির শুনানি পিছিয়েছে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ৫ নম্বর আদালত কক্ষে তালিকার প্রায় শীর্ষে ওই মামলার শুনানি ছিল। মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে। সে দিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, যেহেতু অন্য এজলাসে মামলার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই ডিএ মামলাটি যেন অন্য কোনও দিনে শুনানি করা হয়।
DA মামলা নতুন বেঞ্চে স্থানান্তর
এরপর আগামী ১৪ মে দুপুর ২টোয় শুনানির দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু নতুন তালিকা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই হতাশ হয়ে পড়ে সরকারী কর্মচারীদের একাংশ। দ্বিতীয় বার মামলাটির এজলাস পরিবর্তন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নতুন তালিকা বলছে, নতুন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের ডিএ মামলা। মামলাটি ৫ নম্বর কোর্ট থেকে গিয়েছে ১৫ নম্বর কোর্টে। আগামী বুধবার বিচারপতি করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে তালিকায় ৪০ নম্বরে রয়েছে মামলাটি। যদিও শুনানির নির্ধারিত সময় ছিল দুপুর ২টো, তবে এত পিছনের নম্বর হওয়ায় মামলাটি এ দিনেও শুনানির সুযোগ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরও পড়ুনঃ পাবেন কড়কড়ে ১০ হাজার, কেন্দ্রের এই স্কিমে নাম লেখালেন?
আগে মামলাটি ছিল মহামান্য বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং মহামান্য বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং মহামান্য বিচারপতি সন্দীপ মেহতা-র বেঞ্চে। তবে বর্তমানে তা তালিকাভুক্ত হয়েছে শুধুমাত্র মহামান্য বিচারপতি করোল এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। যদিও বেঞ্চ বদল হলেও বিচারপতি করোল আগেও ছিলেন, এখনও রয়েছেন। তাই অনেক আইনজীবীর মতে, মামলার মূল গতিপথে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘শুধু এজলাস পরিবর্তন হয়েছে। পূর্বের বেঞ্চে বিচারপতি করোল ছিলেন। নতুন বেঞ্চেও তিনি রয়েছেন। ফলে ১৪ মে দুপুরে শুনানি হবে।’’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।