প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দূর্নীতির খবর উঠেই আসছে শিরোনামে। কখনও রেশন চুরির খবর তো আবার কখনও কয়লা পাচার এবং গরু পাচারের মত ঘটনা। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের নেতাদের। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই দুর্নীতির ছায়া পড়েছে শিক্ষামহলেও। মোটা টাকার বিনিময়ে অজস্র অযোগ্য ব্যক্তিবর্গকে চাকরি দেওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার এই নিয়ে RTI ফাইল অ্যাপ্লাই করল একজন শিক্ষক।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অনিমেষ হালদার নামে এক স্কুল শিক্ষক একটু শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাইতো শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য তাঁর কাছে আসে। এবার সেই তথ্য পরখ করার জন্যই তিনি একটি RTI করেছিলেন শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা এসপিআইওর কাছে। যেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে স্কুলগুলিতে কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু তাতে তাঁর কাছে যে তথ্য এসে পৌঁছেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
সরকারের কাছেই নেই সেই তথ্য
আদলে শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির সেই চিঠি স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর কাছে যায়। সেখান থেকে চিঠি যায় গ্রান্ট ইন এইড সেকশনে। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়, এরকম তথ্য হাতের কাছে প্রস্তুত নেই। আসলে বিকাশ ভবন জানাতেই পারেনি কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে। যার ফলে রীতিমত নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠে আসছে। যেহেতু শিক্ষাদফতরের পলিসির একটা বড় অংশ এই শূন্যপদের উপর নির্ভর করছে। সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত কত শূন্যপদ সেটাই যদি না জানাতে পারে সরকার তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
RTI এর দেওয়া এই তথ্য আবার কয়েকটি মহলের থেকে প্রশ্ন তুলছে যে একাধিক সংবেদনশীল ক্ষেত্রে সরকার ইচ্ছে করে তথ্য চেপে যেতে চায়। এক্ষেত্রেও সরকার তাই করছে। কিন্তু সেটা করলে এর ফল সাধারণ শিক্ষকদের কাছে খুব খারাপ প্রভাব পড়বে। কারণ হাইকোর্টে ইতিমধ্যে চলছে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা মামলা। সেই নিরিখে বার বারই প্রশ্ন উঠেছে ঠিক কত শূন্যপদ রয়েছে স্কুলগুলিতে? তবে এবার RTI এর জবাবেও সঠিক শূন্যপদের কথা জানাতে পারল না স্কুল শিক্ষা দফতর।