দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে বাংলায় স্কুলগুলি খুলে গিয়েছে। গরম কাটিয়ে এবং বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ফের একবার স্কুলমুখী হয়েছে লক্ষ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া। তবে এরই মাঝে নকটুন করে বাংলার স্কুলগুলিকে নোটিশ ধরালো স্কুল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম। এই নিয়ে ইতিমধ্যে নবান্নে বৈঠকও হয়েছে গেল প্রস্থ যেখানে বড় নির্দেশ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
নবান্নে বৈঠক
২৪-এর লোকসভা ভোট মিটতেই গত বৃহস্পতিবার এক উচ্চস্তরিয় বৈঠকের ডাক দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। এছাড়াও ছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যে ব্যাপক হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অপচয়ের পরিমানও বাড়ছে। আর এই প্রশাসনিক বৈঠকে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করতে কড়া ভাষায় তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ।
স্কুলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ মমতা সরকারের
এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময়ই খবর আসে সরকারি অফিসে যখন লোক থাকছে না তখনও ফ্যান, আলো জ্বলছে, এমনকী এসি ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুতের অপচয় বরদাস্ত করা হবে না কিছুতেই।’ এই মন্তব্যর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা পৌঁছে যায় বলে খবর। নির্দেশিকায় সাফ সাফ জানানো হয়েছে যে যেনতেন প্রকারে স্কুল থেকে শুরু করে সরকারি অফিসগুলিতে বিদ্যুতের অপচয় রুখতে হবে।
নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানিয়ের দেন এসির মাত্র কততে থাকবে তা জানান। বলেন, এসি ২৬ ডিগ্রীর উপরে চালানো যাবে না। এমনকি প্রয়োজনে সরকারি প্রতিটি ভবনের মাথায় সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।